মেদিনীপুর কমার্স কলেজ

অশান্তির রেশ কাটেনি, পড়ুয়াদের হাজিরা কম

নতুন করে আর অশান্তি না হলেও তার রেশ থেকে গিয়েছে। আর তার জেরে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কমেছে মেদিনীপুর কমার্স কলেজে। কলেজের ছাত্র সংসদে ক্ষমতাসীন ছাত্র পরিষদ (সিপি) এবং শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর অশান্তির জেরে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন কৈবল্যদায়িনaী মহাবিদ্যালয়ের (কমার্স কলেজ বা কে ডি কলেজ) টিচার ইন-চার্জ বিবেকানন্দ দাস মহাপাত্র। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে কলেজ খোলা রাখলেও পড়ুয়া বিশেষ আসছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

কে ডি কলেজের গেটে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন করে আর অশান্তি না হলেও তার রেশ থেকে গিয়েছে। আর তার জেরে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কমেছে মেদিনীপুর কমার্স কলেজে।

Advertisement

কলেজের ছাত্র সংসদে ক্ষমতাসীন ছাত্র পরিষদ (সিপি) এবং শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর অশান্তির জেরে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন কৈবল্যদায়িনaী মহাবিদ্যালয়ের (কমার্স কলেজ বা কে ডি কলেজ) টিচার ইন-চার্জ বিবেকানন্দ দাস মহাপাত্র। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে কলেজ খোলা রাখলেও পড়ুয়া বিশেষ আসছেন না। শহরের এই কলেজে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় চোদ্দশো। সোমবার কলেজে এসেছিলেন মাত্র একশোজন। ফলে ক্লাসও সে ভাবে হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিবেকানন্দবাবুর বক্তব্য, “টানা দু’দিন অশান্তির জন্য একটা অন্য পরিবেশ তো তৈরি হয়েছেই। তাই হয়তো অনেকে কলেজে আসেনি।” বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক বিনয় চন্দ বলেন, “সোমবার ওই কলেজে কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি ছিল বলে শুনেছি। টিচার ইন-চার্জ ও পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে যা যা পদক্ষেপ করার করা হয়েছে। দ্রুতই কলেজে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে।”

সোমবার অবশ্য নতুন করে কোনও অশান্তি হয়নি। কলেজের আশপাশে পুলিশি নজরদারিও ছিল। এসেছিলেন কোতয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশীও। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দাবিতে এ দিন কলেজ গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঁদের মধ্যে দু’জন শেখ বাবলু এবং অতনু মুর্মু সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে এসএফআই। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার কথায়, “কলেজে টানা অশান্তি চলছে। যাদের জন্য কলেজের এই পরিস্থিতি, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না, অথচ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল।”

Advertisement

একই দাবিতে এ দিন মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে সিপি-ও। সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “টিএমসিপি বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে গোলমাল করল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে জেলাশাসক, সকলের কাছে সুবিচার চাইব।” কলেজের এই পরিস্থিতির দায় নিতে অবশ্য নারাজ টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির অভিযোগ, “সিপিই কলেজে অশান্তি করেছে।”

কলেজে কী পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে না? জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা কমার্স কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য আশিস চক্রবর্তীর দাবি, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।” মেদিনীপুর শহরের কৈবল্যদায়িনী মহাবিদ্যালয়ের (কমার্স কলেজ) ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় রয়েছে সিপি। শহরের এই কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ নতুন নয়। গত বৃহস্পতি ও শুক্র, পরপর দু’দিন গোলমালের পর গত শনিবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্যামলেন্দু মাইতিকে চিঠি দেন টিচার ইন-চার্জ বিবেকানন্দবাবু। তাঁকে অবশ্য অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। আগামী শুক্রবার পরিচালন সমিতির ওই বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement