বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ভগবানপুরে। মৃতার নাম সর্বাণী মণ্ডল (২৪)। বৃহস্পতিবার রাতে ভগবানপুরের কোটবাড় অঞ্চলের পূর্ব রাধাপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে বিষ খায় সর্বাণী। মুগবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা রামচন্দ্র মণ্ডল ভগবানপুর থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ভূপতিনগর থানার টিকরমৈশালী গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র মণ্ডলের মেয়ে সর্বাণীর সঙ্গে বিয়ে হয় পূর্ব রাধাপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সর্বাণীর উপর অত্যাচার করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মেয়ের বিয়েতে ছেলের বাড়ি থেকে চার লক্ষ টাকা পণ চেয়েছিল। কোনও মতে তিন লক্ষ টাকা জোগাড় করে তাঁদের দেওয়া হয়। পরে বাকি টাকাও দিয়ে দেওয়ার কথা বলেন রামচন্দ্রবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিয়ের প্রথম বছরের পর পণের টাকার জন্য মেয়ের ওপর ওরা অত্যাচার শুরু করে। এর মধ্যে গত বছর মেয়ের একটি ছেলে হয়। তারপরেও অত্যাচার কমেনি।’’
রামচন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘প্রায়শই পণের বাকি টাকা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়া লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার মেয়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেশি হওয়ার খবর পাই। আমি নিজে বিকেল ৪টে নাগাদ মেয়ের বাড়ি গিয়ে শ্বশুর ও জামাইকে পণের বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলে আসি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আসার কথা বললে বাড়িতে কাজের অজুহাতে বেয়াই ও জামাই বাধা দেয়। এরপর রাতে ফোন করলে মেয়ের কান্না শুনে সকালে ওকে নিয়ে আসব বলে ভাবি। এরপর রাত্রি সাড়ে ৩টে নাগাদ মেয়ের ভাসুর ফোনে জানান, সর্বাণী বিষ খেয়েছে।’’ তিনি জানান, মুগবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শর্বাণীর মৃত্যু হয়। ভূপতিনগর থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।