কাজের হিসেব দিতে সভা ডেকেছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। সেখানে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামাবাসীদের ঘাটালের দেওয়ানচক-১ পঞ্চায়েত এলাকায়।
সপ্তাহ খানেক আগে গ্রাম সংসদ সভায় কাজের হিসেব চেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু হিসেব মেলেনি। নারায়ণপুর বুথের সেই সভা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন গ্রামবাসীরা জানান, এলাকার উন্নয়নে কী খরচ হয়েছে তার হিসেব দিতে হবে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার তৃণমূলের নারায়ণপুর বুথ সভাপতি বিশ্বনাথ মালাকার, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বর্ণালী ঘোষেরা উন্নয়নের হিসেব দিতে সভা ডেকেছিলেন। সেখানেই বিশ্বনাথকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তিনি ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিশ্বনাথের অভিযোগ, “হিসেব দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আমাকে ঘিরে ফেলেন মহিলারা। চড়, থাপ্পড় মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।” বিজেপির ঘাটাল দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শীতল কোপাটের দাবি, “সরকারি কাজের হিসেব মানুষ তো চাইবেই। সেটা দিতে না দিতে পারলে গ্রামবাসীরা মেনে নেবে কেন?” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “সরকারি তথ্য এভাবে দেওয়ার কোনও নিয়ম তো নেই। তার জন্য মারধর করা হচ্ছে।”
এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। আতঙ্কে ওই এলাকার তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মী এলাকাছাড়া। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই ঘাটাল ব্লকের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত। দেওয়ানচক-১ পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েক দিন ধরেই গোলমাল চলছে। নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া মহারাজপুরের সংসদ সভাতেও দু’দিন আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধর করে আটকে রাখা হয়েছিল।
নারায়ণপুরের গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। তিনি কোনও হিসেব দিতে পারেনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।