কেশিয়াড়ির সভায়। নিজস্ব চিত্র
দলনেত্রীর দায়িত্ব। কেশিয়াড়ি ব্লকে বিজেপির হাত থেকে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাই কখনও রুদ্ধদ্বার বৈঠক। আবার কখনও দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন থেকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভা। বারবার কেশিয়াড়ি ছুটে এসেছেন তিনি। এ বার রণনীতি ঘোষণা করে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে না যাওয়ার বার্তা দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে রবিবার এক প্রস্তুতিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। ওই সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘একটা লোককেও বিজেপির পঞ্চায়েতের কাছে যেতে হবে না। কারও বাড়িতে যাবেন না, হাত পাতবেন না। সমস্যা হলে বিডিওর কাছ যাবেন। আক্রমণ করলে থানার আইসির কাছে যাবেন।” বিকল্প পথও বাতলে দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, “এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে নেতা-নেত্রীর সই করা প্যাড এমনকী আমারও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, ট্রেনের বুকিং সার্টিফিকেট সবকিছু ফাঁকা সই করে কার্যালয়ে রেখে দেব।” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মাথা খারাপ হয়েছে। তাই অগণতান্ত্রিক কথা বলছেন।’’
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘কর্মীর মাথায় লাঠি পড়িলে পরের দিন রণাঙ্গনে দেখা হবে। রাজনৈতিক লড়াইতে দেখা হবে।’’ এ দিন সভা মঞ্চে দেখা যায়নি তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগদীশ দাশ ও অপর তৃণমূল নেতা ফটিকরঞ্জন পাহাড়িকে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে নেতারা তৃণমূল সুলভ আচরণ করেনি, তাদেরকে দিদি মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তাদের বলা হয়েছে তোমরা পেছনে থাকো।’’
বাঘাশ্রীতে এ দিন বিকেলে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।