রেকর্ড গড়ার নেশায় স্কুল পালিয়ে পুলিশের হাতে

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের ডিহিজামতলা গ্রামের তিন কিশোর হরিশঙ্কর দাস, দেবরাজ দাস ও অন্তু দাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share:

সাইকেল নিয়ে কলকাতা যাওয়ার ‘রেকর্ড’ গড়তে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল স্কুলপড়ুয়া তিন কিশোর। কিন্তু বিধি বাম। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে উদ্ধার হয়ে ফের ফিরতে হলে ঘরে। নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ওই তিন স্কুলপড়ুয়াকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ও হাওড়া জেলার পাঁচলা থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের ডিহিজামতলা গ্রামের তিন কিশোর হরিশঙ্কর দাস, দেবরাজ দাস ও অন্তু দাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে পড়ে। পুলিশকে তিনজন জানায়, কয়েক দিন আগে তারা পরিকল্পনা করে সাইকেল চালিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার ‘রেকর্ড’ করবে। তিন ছাত্র অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরোয়। কিন্তু স্কুলে না গিয়ে তিনজন নন্দীগ্রামের তেরপেক্ষ্যা খেয়াঘাট পেরিয়ে মহিষাদলে আসে। কিন্তু মহিষাদল থেকে সাইকেল চড়ে কলকাতার দিকে যাওয়ার পথে নন্দকুমারের কাছে হরিশঙ্করের সাইকেল খারাপ হয়ে যায়। তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে বাকি দুই পড়ুয়া কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। হরিশঙ্কর সাইকেল সারিয়ে নন্দকুমার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা হারিয়ে ফেলে। সন্ধ্যা নাগাদ নন্দকুমারের নামালক্ষ্যা বাজারে স্কুলের পোশাক পরা এক কিশোরকে কাঁদতে দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হরিশঙ্কর সব জানালে তারা নন্দকুমার থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে হরিশঙ্করকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে সে পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানালে বাকি দু’জনের খোঁজে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠায় পুলিশ। কিশোরদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টিও জানতে পারে পুলিশ।

রাত ২টো নাগাদ হাওড়া জেলার পাঁচলা থানা এলাকায় মুম্বই রোডে স্কুলের পোশাক পরা সাইকেল আরোহী দুই কিশোরকে দেখে টহলরত পুলিশ তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় জানতে পারে। তাদের থানায় নিয়ে গেলে পুরো ঘটনা জানা যায়। মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টর শুভঙ্কর দে বলেন, ‘‘হরিশঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় সাইকেল চালিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার রেকর্ড গড়ার জন্যই তারা একসঙ্গে বেরিয়েছিল। পরিবারের লোকজনকে জানায়নি। তবে একজন দলছুট হয়ে বাড়ি ফেরার পথ ভুলে যাওয়াতেই তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দু’জনকে হাওড়ার পাঁচলা থেকে পাওয়া যায়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement