ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত নিজস্ব চিত্র।
সাত দিনেই দিঘার হোটেল মালিকের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। টাকা ও গয়না হাতাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত শনিবার নিউ দিঘার ‘হোটেল সুমন’-এর একটি ঘর থেকে ওই হোটেলেরই মালিক হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা সুব্রত সরকারের (৬৬) গলায় ফাঁস লাগানো মৃত দেহ উদ্ধার করে দিঘা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে বুধবার রামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় জামিল শা নামের এক কাঠ মিস্ত্রীকে। কাঁথি আদালতে তোলা হলে তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিঙ্গল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মৃত সুব্রতর কাছে থাকা টাকা, সোনা ও রূপোর গয়না হাতাতেই এই নৃশংস খুন করেছে জামিল। ইতিমধ্যেই জামিলকে জেরা করে তার বাড়ির কার্নিশে লুকিয়ে রাখা নগদ ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ও প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা ও রূপোর গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘জেরায় জামিল বলেছে, মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে পারছিল না সে। এই অবস্থায় হোটেল মালিকের কাছে টাকা দেখে লোভ সামলাতে পারেনি। তাই গত ১৮ জুন গভীর রাতে হোটেলের জানালা কেটে ঘরে ঢুকে হোটেল মালিকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার পর টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সে।’’
মানব আরও বলেন, ‘‘নিয়মিত হোটেলে যাতায়াতের সুবাদে সেখানকার নকশা সবটাই জানা ছিল জামিলের। তাই খুন করে বেরিয়ে আসার সময় হোটেলে থাকা সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে পাশের পুকুরে ফেলে দেয় সে।’’