মিড-ডে’র রান্না করবে কে, বিবাদে খাবার পেল না পড়ুয়ারা

রান্না কারা করবে তা নিয়ে বিবাদ। যার জেরে মিড ডে মিলই পেল না পড়ুয়ারা।মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম সদর ব্লকের সাঁওতালডিহি গ্রামের জুনিয়ার হাইস্কুলে। লোধাশুলি অঞ্চলের সাঁওতালডিহি গ্রামে পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জুনিয়ার হাইস্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০১:১৭
Share:

রান্না কারা করবে তা নিয়ে বিবাদ। যার জেরে মিড ডে মিলই পেল না পড়ুয়ারা।

Advertisement

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম সদর ব্লকের সাঁওতালডিহি গ্রামের জুনিয়ার হাইস্কুলে। লোধাশুলি অঞ্চলের সাঁওতালডিহি গ্রামে পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জুনিয়ার হাইস্কুল। ২০১৪ সালের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনেই চলত জুনিয়ার হাইস্কুলের পঠনপাঠন। ২০১৫ সালে নতুন ভবনে উঠে যায় জুনিয়ার হাইস্কুল। কিন্তু স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খেতে যেতে হতো পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

২০০৫ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারটি স্ব-সহায়ক দল নিয়মিত মিড ডে মিল রান্না করত। সম্প্রতি গ্রামের ভিলেজ এডুকেশন কমিটি দু’টি নতুন স্ব-সহায়ক দলকে জুনিয়ার হাইস্কুলে রান্নার জন্য ঠিক করে। এই মর্মে বিডিও একটি নির্দেশিকাও দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। বিরোধ বাধে এরপরই। মঙ্গলবার থেকে নতুন স্ব-সহায়ক দলের জুনিয়ার হাই স্কুলে রান্না শুরু করার কথা ছিল। তাঁদের অভিযোগ, সকালে স্কুলে রান্না করতে গেলে পুরনো স্ব-সহায়ক দলের লোকজন বাধা দেয়। পরে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।

Advertisement

জুনিয়ার হাইস্কুলের টিচার ইন চার্জ অশোক কুমার দলুই বলেন, ‘‘স্কুলে কোন দল রান্না করবে সেটা আমার দেখার কথা নয়। ভিলেজ এডুকেশন কমিটি সেই সিদ্ধান্ত নেয়। আমাকে লিখিত দেওয়া হলে আমি সেটা ব্লকে পাঠিয়ে দিই। পরে বিডিওর নির্দেশে আমরা নতুন দুটি দলকে রান্না করার কথা জানাই।’’ তিনি জানান, পুরনো চারটি দলকে মৌখিক ভাবে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওঁরা হয়তো ঠিক বুঝতে পারেননি।

জুনিয়ার হাইস্কুলের নতুন স্ব-সহায়ক দলের দলনেত্রী অনিতা মাহাত ও নির্মলা মাহাত বলেন, ‘‘আমরা এ দিন সকালে স্কুলে রান্না করতে এসেছিলাম। কিন্তু আগের দল আমাদের বাধা দেয়। মারধরের হুমকি দেয়। ফলে রান্না করা যায়নি।’’ পুরনো স্ব-সহায়ক দলের নেত্রী সাবিত্রী মাহাতর দাবি, ‘‘স্কুল আমাদের না জানিয়ে অন্য দলকে রান্নার দায়িত্ব দিয়েছে। বিষয়টা বিডিওকে জানিয়েছি। জুনিয়ার হাইস্কুল আমাদের রান্না করতে বারণ করেছে। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনও দলকে রান্না করতে দেব না।

ঝাড়গ্রামের বিডিও সুদর্শন চৌধুরী বলেন, ‘‘জুনিয়ার হাইস্কুলে এতদিন পরিকাঠামো না থাকার জন্য সেখানকার পড়ুয়ারা পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল খেতে যেত। এখন জুনিয়ার হাইস্কুলে মিড ডে রান্নার পরিকাঠামো তৈরি। তাই নতুন দুটি দলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুরনো ও নতুন দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য সামান্য গোলমাল হয়েছে। পরে দু’পক্ষই আলোচনায় বসে। আশা করি বুধবার থেকে জুনিয়ার স্কুলে মিড ডে মিল রান্না চালু হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement