টোটোকে অস্থায়ী নম্বর পুরসভার

দিন দিন বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। যদিও অনুমোদন না থাকায় একাংশ টোটো কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ। প্রায়ই যাত্রীরাও সমস্যার শিকার হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
Share:

দিন দিন বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। যদিও অনুমোদন না থাকায় একাংশ টোটো কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ। প্রায়ই যাত্রীরাও সমস্যার শিকার হন। সমস্যা মেটাতে আগেই মেদিনীপুর শহরে প্রায় সাড়ে ৪০০টিরও বেশি টোটোকে পারমিট দিয়েছে পরিবহণ দফতর। অভিযোগ, এরপরেও অনেক পারমিট না পাওয়া টোটো শহরে চলছিল। তা নিয়েও অভিযোগও আসছিল। তাই এ বার পারমিট না পাওয়া টোটোকে অস্থায়ী ‘টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ (টিন) দেওয়ার নির্দেশ দেবে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের এই নির্দেশিকা পৌঁছেছে মেদিনীপুর পুরসভায়।

Advertisement

পুরসভাকে অস্থায়ী নম্বর দেওয়ার কথা জানালেও, টোটো কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, নতুন করে টোটো নামলে কী হবে, এ বিষয়ে নির্দেশকায় স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, “দফতর থেকে আগে যে সব টোটোকে পারমিট দেওয়া হয়েছে সেগুলি বাদে বাকি টোটোকে নম্বর দেবে পুরসভা। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা পাঠাবে, সেই মতোই কাজ করা হবে।” মেদিনীপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “সরকারি নির্দেশ পেয়েছি। বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হবে।”

শহরের রাস্তায় টোটোর সংখ্যা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রুট নিয়ে বিবাদের জেরে অটো ও টোটো চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পরে পরিবহণ দফতর প্রায় সাড়ে ৪০০টিরও বেশি টোটোকে পারমিট দেয়। এক একটি টোটোকে ৪টি করে ওয়ার্ডে চলার অনুমতিও দেওয়া হয়। এ বার ফের টোটোকে অস্থায়ী নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা শুনে টোটো চালক তুফান খাঁ বলেন, “ধার করে টোটো কিনেছি। সরকারি অনুমতি না মেলায় ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলাম। এ বার মনে হচ্ছে, বাঁচলাম। পুরসভা নম্বর দিলে তো তুলে দিতে পারবে না।”

Advertisement

‘পশ্চিম মেদিনীপুর প্রোগ্রেসিভ ই-রিকশা মিউনিসিপ্যালিটি ইউনিয়ন’-এর সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক বলেন, “আমরা পুরসভার কাছে আবেদন জানাব, যাতে দ্রুত নম্বর দেওয়ার কাজটি করা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement