পুড়ছে: আগুন মোটরবাইকে। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কের এক এজেন্টের টাকা ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে গেল তিন দুষ্কৃতী। শুক্রবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানার মুকসুদপুর এলাকার ঘটনা। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দা ব্যাঙ্কের এজেন্ট পিন্টু দে বুড়ামালার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মোটরবাইকে তিন যুবক এসে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরেই মুকসুদপুরের কাছে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই বাইকের আরোহী খড়্গপুরের তালবাগিচার বাসিন্দা মনোজ দাস। বাকি দু’জন কাঁসাই নদী পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দারা বাকি দুই দুষ্কৃতী কৃষ্ণা চিরিমার ও গণেশ সিংহকে ধরে ফেলে। কৃষ্ণা খড়্গপুরের ছোট আয়মার বাসিন্দা। শহরের রবীন্দ্রপল্লিতে বাড়ি গণেশের। পরে তিনজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই বুড়ামালার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে মুকসুদপুরে ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে টাকা নিয়ে আসেন পিন্টু। পিন্টুর অভিযোগ, তাঁর ব্যাগে হাজার পঞ্চাশেক টাকা ছিল। মুকসুদপুরে ঢোকার আগেই মোটরবাইকে করে তিন যুবক বাইকে এসে পথ আটকায়। এরপরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয় তারা। মুকসুদপুর বাজারের কাছে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে স্থানীয়রা মনোজকে পাকড়াও করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পালিয়ে যায় বাকি দু’জন। উত্তেজিত জনতা মনোজের মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এলে মনোজকে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিত ব্রহ্মর অভিযোগ, “মনোজ দাসকে আটক করার পর বাকি দু’জন রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালাতে-চালাতে কাঁসাই নদীর দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বাইকে আগুন লাগিয়েছে।”
খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পিন্টু দে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনার পরেই গ্রামবাসীর হাতেই তিন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছিল। আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”