ডেঙ্গি ঠেকাতে পুর-বৈঠক

শহরে ব্লিচিং, মশা মারার তেল দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ ছিলই। এ বার শীতের মরসুমেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফের আঙুল উঠেছে খড়্গপুর পুরসভার দিকে। পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩২
Share:

শহরে ব্লিচিং, মশা মারার তেল দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ ছিলই। এ বার শীতের মরসুমেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফের আঙুল উঠেছে খড়্গপুর পুরসভার দিকে। পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল পুরসভা।

Advertisement

শনিবার ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনার পরে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ২০জন শ্রমিক নিয়োগ করে শহরে মশা মারার তেল, ব্লিচিং ছড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’টি দলে ভাগ হয়ে প্রতিদিন পাঁচটি করে ওয়ার্ড ঘুরে কাজ করবেন ওই শ্রমিকরা। প্রত্যেক কাউন্সিলর যাতে নিজেদের ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখেন, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলায় মশা বাহিত রোগের নোডাল অফিসার তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। তিনি এ দিনের বৈঠকে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার-সহ অন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তার আগে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের সঙ্গে দেখাও করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ডেঙ্গি আক্রান্তরা আপাতত ভাল রয়েছেন। পুরসভাকে লিফলেট, তেল দিয়েছি। পরিবেশ যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুরপ্রধান।”

পুজোর আগে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছিল রেলশহরে। তখন জমা জল, আবর্জনা ও নিকাশির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরে নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্লিচিং ছড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু ক্রমে সেই কাজে ভাটা পড়ে যায়। শীত পড়ে যাওয়ায় আর ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেবে না বলে কিছুটা স্বস্তিতেই ছিলেন পুর-কর্তারা। কিন্তু এই হিমেল আবহাওয়াতেও খড়্গপুর পুরসভার ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মেলায় সব হিসেব উল্টে গিয়েছে। পুরপ্রধান প্রদীপবাবু এ দিন বলেন, “আমাদের প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের পুর-পারিষদ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছিলেন। জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ছিলেন। ডেঙ্গি ঠেকাতে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্লিচিং, মশা মারার তেল ছড়াতে ২০ জন শ্রমিক নামানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের উদ্যোগী হতে বলা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement