Agitation

স্টপেজের দাবিতে সর্ডিহা স্টেশনে অবরোধ

ঝাড়গ্রাম ব্লকের সর্ডিহা ওই এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সর্ডিহা, মানিকপাড়া, বালিভাসা-সহ আশেপাশের গ্রামের লোকেরা হাওড়া বা টাটা যাওয়ার জন্য ওই স্টেশনে ভিড় করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সর্ডিহা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:১৪
Share:

সর্ডিহা স্টেশনে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

টাটা-হাওড়া স্টিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্টপেজ থাকছে না সর্ডিহা স্টেশনে। এই কারণে সোমবার সকালে রেললাইনে বসে অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবরোধের জেরে আটকে পড়ে স্টিল এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে স্টিল এক্সপ্রেস সর্ডিহা স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া শুরু করেছিল। এলাকাবাসীদের বহুদিনের আন্দোলনের পরেই তা শুরু হয়েছিল।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম ব্লকের সর্ডিহা ওই এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সর্ডিহা, মানিকপাড়া, বালিভাসা-সহ আশেপাশের গ্রামের লোকেরা হাওড়া বা টাটা যাওয়ার জন্য ওই স্টেশনে ভিড় করেন। স্টপেজ বন্ধ করা হচ্ছে জানতে পেরেই গত মঙ্গলবার স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় অবরোধে বসেন সেখানকার যাত্রীরা।

অবরোধের পর রেল দফতরের আধিকারিকরা আসেন। স্টেশন ম্যানেজার অবরোধকারীদের জানান, তাঁদের সমস্যার কথা রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই আশ্বাসের পর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। অবরোধ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, ‘‘সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা অবরোধ করেছিলেন। ওঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’’

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার মানুষদের ক্ষোভে কিছুটা বিপাকে গেরুয়া শিবির। সোমবার রেল অবরোধ করেছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। তিনি বলেছেন, ‘‘এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে রেল দফতরে। আমি নিজেই এসেছি আন্দোলনকারীদের কথা শুনতে। তাঁদের দাবি যেখানে জানানোর সেখানে জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement