প্যাকেটে তারিখ নেই। —নিজস্ব চিত্র।
রেশনে দেওয়া আটার প্যাকেট না আছে প্রস্তুতকরণ তারিখ, না আছে ব্যাচ নম্বর! অথচ প্যাকেটের গায়েই লেখা— আটা ব্যবহারের সময়কাল এক মাস। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে দাঁতনে।
সোমবার একাংশ গ্রাহক জেলা খাদ্য দফতরে এসে অভিযোগ জানান। পশ্চিম মেদিনীপুরের খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দাঁতন থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ যে সব রেশন দোকান থেকে এই আটার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে, সেই সব দোকান মালিকদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে দফতরের এক সূত্রে খবর।
খাদ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, প্যাকেটে আটার বিবরণে জানানো হয় ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, আয়রনের পরিমাণ। প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম, ওজন, প্রস্তুতকরণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর, ব্যবহারের সময়কাল, বিক্রয়মূল্যেরও উল্লেখ থাকে। কিন্তু গত সপ্তাহে দাঁতনের বিভিন্ন এলাকায় রেশনে যে আটার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রস্তুতকরণের তারিখ ও ব্যাচ নম্বরের উল্লেখ নেই।
দাঁতনের পুরুন্দা এলাকার রেশন ডিলার বিমল রায়-সহ বেশ কয়েকজন ডিলারের বিরুদ্ধে এ দিন খাদ্য দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিমলবাবু অবশ্য বলেন, “একসঙ্গে অনেক আটার প্যাকেট আসে। সব প্যাকেট দেখে নেওয়া সম্ভব হয় না।” কেন রেশনে এমন নিম্নমানের আটা সরবরাহ হল? বিমলবাবুর দাবি, “ওটা নিম্নমানের নয়। দিন কয়েক আগেই তৈরি হয়েছে!” দাঁতনের বাসিন্দা নিশীথ হাতি, অনিল সিংহ, রামেজ বেগ, কালীপদ বেরাদের অবশ্য অভিযোগ, “এই প্রথম নয়। এর আগেও রেশনে নিম্নমানের আটা, খাওয়ার অযোগ্য চাল দেওয়া হয়েছে।’’ গ্রাহকদের অসন্তোষের কথা মানছেন দাঁতন থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলার কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি। শৈবালবাবু বলেন, “রেশনের আটা- চাল নিয়ে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি খাদ্য দফতর দেখছে।”
অভিযোগ, জেলার নানা প্রান্তে রেশন দোকান অনিয়ম চলছে। কিছু দিন আগেই পরিদর্শনের সময় লালগড়ের নেপুরার এক রেশন দোকানে হাতেনাতে গরমিল ধরা পড়ে। ডিলারকে শো-কজ করে খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, “অনিয়ম ঠেকাতে দোকানে হানা শুরু হয়েছে। পরিদর্শকেরা যাচ্ছেন।”