—নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার থেকে আবার স্কুল খুলে যাচ্ছে রাজ্যে। এর জেরে জেলার স্কুলগুলিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা স্তিমিত হতে অন্তর বছর দেড়েক পর স্কুল খুলেছিল গত ১৬ নভেম্বর। তার পর আবার সাম্প্রতিত কোভিড স্ফীতির আবহে গত ৩ জানুয়ারি বন্ধ করে যায় স্কুল। এ বার করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় আবার স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোভিডবিধি মেনেই পুরোদমে জেলার স্কুলগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘এ বার পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে। তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক সৌমেন খান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বেশ কয়েকটি স্কুলের স্যানিটাইজ করাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। দেশপ্রাণ মৌপাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়া বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। স্কুলচত্বর, ক্লাসঘর সব স্যানিটাইজ করা হয়েছে।’’
সামনেই সরস্বতী পুজো। তা-ও নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। জঙ্গলমহলের পিংবনী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে যাতে পড়ুয়াদের মধ্যে করোনাবিধি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো যায়। তা ছাড়া সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’
বুধবার বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল স্যানিটাইজ করেছেন বর্ধমান পুরসভার দল। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্কুল সরকারি নির্দেশ মেনে সব প্রস্তুতি নিয়েছে। স্কুলের প্রবেশ পথেই স্যানিটাইজার থাকবে। মাস্ক পরে আসতে হবে সবাইকে। পড়ুয়াদের স্কুলেও স্যানিটাইজার আনতে হবে। স্কুল চলবে কোভিডবিধি মেনে। পড়ুয়াদের শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে বসতে হবে। ভাগ ভাগ করে পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকা হবে।’’
বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার দত্ত বলেন, ‘‘আমরা চাই এ বার থেকে নিয়মিত ভাবে স্কুল চলুক, ছাত্ররা আসুক স্কুলে।’’