Tamluk

চিকিৎসায় দেরি আধিকারিকের, প্রতিবাদে তালা

বুধবার সকালে তমলুক অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৩
Share:

তালাবন্দি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

বাসিন্দাদের জমি বেচাকেনার নথি তৈরি করে দলিল লেখকেরা রেজিস্ট্রি করার জন্য অফিসে এসেছেন। হাজির দফতরের কর্মীরাও। কিন্তু অনুপস্থিত খোদ দফতরের সাব-রেজিস্ট্রার । দফতরে কাজের আসা লোকজন খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলেন সাব-রেজিস্ট্রার এ দিন আসবেন না। ফলে হয়রানির মুখে পড়তে হল দলিল লেখকদের। ক্ষুব্ধ দলিল লেখকেরা তালা ঝুলিয়ে দেন দফতরের গেটে।

Advertisement

বুধবার সকালে তমলুক অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে। জেলা আদালত এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস সংলগ্ন ওই অফিসে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দলিল লেখকেরা তালা ঝুলিয়ে দেন। তার জেরে অফিসের ভিতরে কর্মীরা আটকে পড়েন। প্রায় একঘণ্টা ধরে তালাবন্দি থাকার পর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কর্মীদের অনুরোধে তালা খুলে দেন দলিল লেখকেরা। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এদিনই বিকেল ৩টে নাগাদ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে আসেন ও জমিজমা রেজিস্ট্রির কাজ করেন বলে জানিয়েছেন দলিল লেখকরা।

এদিন অফিসে তালা মারার কারণ জানিয়ে দলিল লেখকদের অভিযোগ, জমি বেচা-কেনা সহ হস্তান্তরের জন্য আগে থেকে নথিপত্র তৈরির পরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এনে দলিল রেজিস্ট্রি করাতে হয়। এর জন্য সংশ্লিষ্ট জমি-বাড়ির মালিক ও ক্রেতাদের ডাকা হয় অফিসে। অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার থাকলে তবেই জমিজমা রেজিস্ট্রেশনের কাজ হয়। কিন্তু এই সাব-রেজিস্ট্রার মাঝে প্রায় ১৮ দিন ছুটিতে ছিলেন। কাজে যোগ দেওয়ার পর গত সোমবার ও মঙ্গলবার তিনি অফিসে কাজ করেন। কিন্তু এদিন অফিসে এসে জানা যায় তিনি আসবেন না। ফলে জমিজমা রেজিস্ট্রি করতে আসা বাসিন্দাদের সাথে আমাদেরও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। তাঁদের দাবি, আগাম কোনওকিছু না জানিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার এ ভাবে অফিসে না আসায় তালা মেরে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

Advertisement

দলিল লেখক পঞ্চানন সামন্ত ও মদন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়মিতভাবে না আসায় জমিজমা রেজিস্ট্রির জন্য বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আমাদেরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই সাব-রেজিস্ট্রার যাতে নিয়মিত অফিসে আসেন সেই দাবি জানিয়েছি। তবে এদিন সাব-রেজিস্ট্রার আসার পর জমিজমা রেজিস্ট্রির কাজ হয়েছে।’’

তমলুকের অ্যাডিশনাল সাব-রেজিস্ট্রার গোপাল মিত্র বলেন, ‘‘অফিসে অনিয়মিত আসার অভিযোগ ঠিক নয়। চিকিৎসার জন্য মাঝে কিছুদিন ছুটি নিয়েছিলাম। আজও চিকিৎসার জন্য অফিসে না আসার কথা জানিয়েছিলাম। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অফিসে অসুবিধার কথা জানতে পেরে পরে চলে আসি। সে জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement