ফাইল চিত্র।
ফের করোনাভাইরাস সন্দেহ পশ্চিম মেদিনীপুরে। খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা ইরান ফেরত এক দম্পতির উপরে এ বার নজরদারি শুরু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই দম্পতি ইরানের তেহরানে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা আছেন মহারাষ্ট্রের পুণেতে। শীঘ্রই খড়্গপুরে ফিরতে পারেন। তাই আগাম সতর্ক স্বাস্থ্য দফতর।
ওই দম্পতির দেশে ফেরার খবর স্বাস্থ্য দফতরে পৌঁছনোর পরেই রাজ্য থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এসেছে। ইতিমধ্যে ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের পরিজনেদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘খড়্গপুরের বাসিন্দা এক দম্পতি ইরানে গিয়েছিলেন। তাঁদের দেশে ফেরার খবর পেয়েছি। ওই দম্পতি এখন পুণেতে আছেন। খড়্গপুরে এলে ওঁদের উপরে নজরদারি রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
চিনের পরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়াচ্ছে ইরানে। ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চিন ফেরতদের উপরে আগে থেকেই নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এখন ইরান ফেরতদের উপরেও নজরদারি চালানোর নির্দেশ এসেছে। সূত্রের খবর, ইরানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরই সেখান থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, ‘‘আমরা ওই দম্পতির পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন ওখানে থাকা ঠিক হত না বলেই ওই দম্পতি ইরান থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওঁদের শারীরিক অবস্থা এখন ঠিকঠাকই রয়েছে। করোনার কোনও উপসর্গ শরীরে নেই। ওঁরা খড়্গপুরে এলে তখন নজরদারি চলবে।’’
জানা যাচ্ছে, সোমবারই ওই দম্পতির নাম-ঠিকানা জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, ইতিমধ্যে চিন ফেরত, জেলার বাসিন্দা চারজনের উপরে নজরদারি চালানো হয়েছে। প্রথম জন ছিলেন পিংলার বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন ছিলেন মোহনপুরের বাসিন্দা। তৃতীয় জন ছিলেন খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়া। আর চতুর্থজন ছিলেন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। প্রথম এবং দ্বিতীয় জনকে তড়িঘড়ি কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। ওই দম্পতির উপরেও যদি নজরদারি চালাতে হয় তাহলে ওই সংখ্যাটা চার থেকে বেড়ে হবে ছয়। ওই চারজনকেই সপ্তাহ তিনেক গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার আশ্বাস, ‘‘করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন আতঙ্কের কিছুই নেই। জেলায় নতুন করে সন্দেহভাজন হিসেবেও কেউ চিহ্নিত হননি। জেলা থেকে সবদিকেই নজর রাখা হয়েছে।’’