ছবি: সংগৃহীত।
আর কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেডের (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস) দিকে চেয়ে থাকতে হবে না। করোনার নিশ্চিত পরীক্ষা এ বার হবে মেদিনীপুর মেডিক্যালেই। প্রয়োজনীয় কিট চলে এসেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু মানছেন, ‘‘এ বার থেকে মেডিক্যালেই করোনার নিশ্চিত পরীক্ষা হবে। কিট এসেছে।’’
করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় শুক্রবার মেদিনীপুর কালেক্টরেটে এক বৈঠক হয়েছে। ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল-সহ অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা। ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, জেলা উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু প্রমুখ। ওই সূত্রে খবর, বৈঠকে জেলাশাসক জানতে চেয়েছিলেন, মেডিক্যালে করোনার নিশ্চিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে কি না। অধ্যক্ষ তাঁকে জানান, প্রাথমিক পরীক্ষা আগেই শুরু হয়েছে। এ বার নিশ্চিত পরীক্ষা শুরু হবে। প্রয়োজনীয় কিট চলে এসেছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে ওই কিটে পরীক্ষা হয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত পরীক্ষা শুরু হবে। করোনার নিশ্চিত পরীক্ষার জন্য কনফারমেটিভ কিটের প্রয়োজন। এতদিন ওই কিট মেডিক্যালে ছিল না। ছিল র্যাপিড টেস্টের টেস্টিং কিট। মেডিক্যালের এক আধিকারিকও মানছেন, ‘‘কনফারমেটিভ কিট এসেছে। আর করোনার নিশ্চিত পরীক্ষার জন্য নমুনা নাইসেডে পাঠাতে হবে না।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরেও করোনার প্রকোপ বাড়ছে। দাসপুরের দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সন্দেহভাজন আরও কয়েকজন মেদিনীপুরে করোনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য ৫২ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে দিনে ৪-৫টি করে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। বস্তুত, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে প্রথম মেডিক্যালেই করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)। আগে ওই পরীক্ষার জন্য জেলা থেকে নমুনা পাঠাতে হত নাইসেডে। গত সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। তবে কনফারমেটিভ কিট না আসায় নিশ্চিত পরীক্ষা শুরু করা যাচ্ছিল না। প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছিল নাইসেডে।
শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলে আসছে, নোভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড- ১৯ সংক্রমণের নির্ধারণের প্রশ্নে একমাত্র উপায় হল নমুনা পরীক্ষাই। সন্দেহভাজনের নমুনা পরীক্ষাই চূড়ান্তভাবে জানাতে পারে, কোনও ব্যক্তি সংক্রমিত কি না। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, ‘‘সাধারণত আইসোলেশনে থাকা কোনও ব্যক্তির ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে একমাত্র তখনই পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’