Kharagpur Sub Division Hospital

গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

বুধবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় তৈরি হয় উত্তেজনা। এ দিন ওই প্রসূতির পরিজনেরা মৃত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির চিকিৎসা চলছিল। প্রসবের সম্ভাব্য দিন পেরিয়ে গেলেও যন্ত্রণা না হওয়ায় ভর্তির পরামর্শ দেননি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। পরে অবশ্য চিকিৎসার প্রয়োজনে গেলে সেখানে ভর্তি নেওয়া হয় প্রসূতিকে। দিন তিনেক পরে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ আছে জানিয়ে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের দিন দশেক পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষার পরে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে গর্ভে থাকা সন্তানের।

Advertisement

বুধবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় তৈরি হয় উত্তেজনা। এ দিন ওই প্রসূতির পরিজনেরা মৃত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালের সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। ওই পরিবার সূত্রে খবর, ১৮ নভেম্বর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালবাগিচা এলাকার বাসিন্দা প্রসূতি নিরাশা ঘোষ দাসকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আল্ড্রাসোনোগ্রাফি করলে হাসপাতালের নার্সরা জানান গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এর পরে চিকিৎসকও একই দাবি করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়তে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে প্রসূতির পরিজনেরা বণ্ডে সই করে প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যায়। সেখানেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন গর্ভস্থ সন্তান মৃত। এরপরে মৃত কন্যা সন্তানকে বের করা হয়। ওই প্রসূতির পরিজনদের প্রশ্ন, সম্ভাব্য দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রসূতি তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকলেও কেন সিজার করা হয়নি! চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃত শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে এসে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাবা সুদীপ দাস। ওই ভাবেই থানায় যান। শেষবেলায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement