প্রতীকী ছবি।
ছাত্র সংঘর্ষের জেরে গত দু’মাস বন্ধ ছিল ছাত্র সংসদের অফিস। শনিবার তা খোলার সিদ্ধান্ত নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার কলেজ খুলতেই ছাত্র সংসদ অফিসে কারা বসবে এই নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। দুই ছাত্র সংগঠন মিছিল করে কলেজে। আগে থেকেই টিএমসিপির সদস্যরা উপস্থিত ছিল। পরে মিছিল করে সংসদ অফিসে ঢুকতে যায় এবিভিপি। অভিযোগ, রুমে গিয়ে বসতে গেলেই মারধর করা হয়। আহত হয়েছে পাঁচজন। অভিযোগ, তাদের ছাত্রদের চেয়ার ছুড়ে ও ক্রিকেট খেলার উইকেট দিয়ে মারধর করেছে টিএমসিপি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বহিরাগতরাও ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি।
সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে আহত হয়েছেন আটজন। বেলদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। টিএমসিপির বক্তব্য, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। টিএমসিপির জেলা সহ সভাপতি মনোজ দেব বলেন, ‘‘মিছিল করে এসে ইউনিয়ন অফিস দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবিভিপি। আমাদের ছেলেরা বাধা দিলেই বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’ এবিভিপির কলেজ ইউনিটের সহ সভাপতি তমালজ্যোতি জানা বলেন, ‘‘কলেজ সবাইকে একসঙ্গে বসার কথা জানিয়েছিল। আমরা যেতেই মারধর করে সংসদ অফিস থেকে বার করে দেওয়া হল।’’
কলেজ কর্তৃপক্ষ অফিসটি খুলে দেওয়ার পর রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে সব ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনকে বসার কথাই জানিয়েছিল। সেখানে শৃঙ্খলা রক্ষার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদন রাখলেন না পড়ুয়ারা। এরপর? ফের কি বন্ধ করে দেওয়া হবে ছাত্র সংসদের অফিস? কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গোলমাল হয়েছে রবিবার রাতেও। তবে এ ক্ষেত্রে বিবদমান ডিএসও এবং এসএফআই। ডিএসওর অভিযোগ, রবিবার রাতে এসএফআই বেলদা কলেজের রাস্তায় একটি দেওয়ালে তাদের আগামী ২৬- ২৯ নভেম্বর হায়দরাবাদে সর্বভারতীয় সম্মেলনের জন্যে প্রচারের দেওয়াল লেখা ছিল। এসএফআই এর কয়েকজন সেই দেওয়ালের ওপর বেশ কয়েকটি পোস্টার দেয় বলে অভিযোগ। এসএফআই এর বেলদা লোকাল কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু দেব বলেন, ‘‘রাতে পোস্টার দেওয়ার সময় বুঝতে না পেরে ভুল হয়েছে। আমরা এই রাজনীতি করি না। বিভিন্ন জায়গায় ওরাও আমাদের পোস্টার ও দেওয়াল লিখনে পোস্টার দিয়েছে।’’