Waste Management Plant

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়তে জোর 

পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি পঞ্চায়েতেই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:০১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়িতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৌচাগার গড়া এবং আবর্জনামুক্ত পরিবেশ গড়তে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ প্রকল্প চালু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। সেই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সঙ্গে সঙ্গেই এবার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ পঞ্চায়েত এলাকাতেই সেই ইউনিট বানানো হয়নি। এমন অবস্থায় ওই সব পঞ্চায়েতগুলিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়তে তৎপর হয়েছে জেলা পরিষদ ও প্রশাসন।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি পঞ্চায়েতেই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বাকি পঞ্চায়েতেও ওই ব্যবস্থনা বানাতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলার সব মহকুমা শাসক, বিডিও’দের বৈঠক হয়েছে। এরপরই বিডিও’রা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসক তনবীর আফজল বলেন, ‘‘প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলায় কয়েকটি পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট রয়েছে। গত এবং চলতি ২০২৩-‘২৪ আর্থিক বছরের মিলিয়ে জেলার ১৪৩টি গ্রামপঞ্চায়েতে ইউনিট গড়ার জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ইউনিট গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে পরবর্তী ধাপে ইউনিট গড়া হবে।’’

প্রশাসন ও পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, পুরসভা এলাকাগুলিতে বাসিন্দাদের বাড়ি ও ব্যবসায়ীদের দোকানের দৈনন্দিনের আবর্জনা সংগ্রহের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিছু গ্রামীণ এলাকায় এমন ব্যবস্থা চালু হলেও অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় তা এখনও চালু হয়নি। দৈনন্দিনের এই আবর্জনা সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণ করার ব্যবস্থা চালু করতে চাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট’ গড়তে আর্থিক বরাদ্দ করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্প থেকে বরাদ্দ অর্থে এই ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়ে তোলার কাজ হচ্ছে। এছাড়া, গ্রামীণ এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ফেলা রান্নার জল এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট ‘গর্ত’ বা ‘সোক পিট’ তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়তে নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। আর প্রতি গ্রাম থেকে বাড়ির আবর্জনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা চালুর জন্য স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে। গ্রাম থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে বহন নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে যাওয়ার জন্য গাড়ি (ই-কার) দেওয়া হচ্ছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘‘যে সব পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট নেই, সেখানে ওই ইউনিট গড়ার জন্য কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট চালু রয়েছে। কিছু পঞ্চায়েতে ইউনিট অকেজো হয়ে রয়েছে। অকেজো ইউনিটগুলিও চালু করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

সমবায় সপ্তাহ

কাঁথি: ৭০তম সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ঝাওয়া সমবায় সমিতির উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত হল বৃহস্পতিবার। সমবায়ের ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রযুক্তি গ্রহণ ও উন্নতকরন' বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে। ছিলেন জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement