ছবি: সংগৃহীত
পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে প্রায় ১০৮ কোটি। ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়কর বিভাগের অভিযানে উঠে এল এমনই তথ্য। গত ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় এই পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে বলে খবর।
এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ ব্যাঙ্ক কর্তারা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার শিবসাধন গোস্বামীর কথায়, “অস্বাভাবিক কিছু হয়নি। আয়কর বিভাগের একটি দল এসে ব্যাঙ্কের কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিল। তা জানানো হয়েছে।” পুরনো নোটে জমা পড়া অর্থের পরিমাণ কি প্রায় ১০৮ কোটি? ডেপুটি ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জহরলাল সিংহের জবাব, “এ রকমই হবে।” তাঁর কথায়, “আয়কর বিভাগের দলটি যা জানতে চেয়েছিল, তাই জানানো হয়েছে। ওরা সন্তুষ্ট।”
বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে ৩৭টি শাখা রয়েছে। ব্যাঙ্কের এক সূত্রের দাবি, মেদিনীপুর শাখায় গ্রাহক সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৪০ হাজার। অন্য শাখাগুলোয় গড়ে ১৮-২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। জেলার সব শাখার লেনদেনের তথ্য মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে থাকে।
সোমবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক কার্যালয়ে হানা দেয় আয়কর বিভাগের একটি দল। রাত পর্যন্ত ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। এই হানা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ব্যাঙ্কের অন্দরেও। একাংশ ব্যাঙ্ক-কর্তার অনুমান, পুরনো নোটে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ জমা পড়াই এর অন্যতম কারণ হতে পারে। ব্যাঙ্কের এক কর্তার কথায়, “এটা আঞ্চলিক কার্যালয়। এখানে সব শাখার টাকা আসে। পরে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়। টাকার অঙ্কটা তো কম নয়। আয়কর বিভাগের হয়তো মনে হয়েছে, এ ক্ষেত্রে কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখা জরুরি।”
নোট বাতিলের পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জনধন অ্যাকাউন্টগুলোতেও হু হু করে টাকা জমা পড়তে শুরু করে। ব্যাঙ্কের এক কর্তার বক্তব্য, “এখানে জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেশি নয়। এই সময়ের মধ্যে জনধন অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়েছে। ’’ তিনি বলছেন, ‘‘ব্যাঙ্কের সব শাখা ম্যানেজারদের জনধন অ্যাকাউন্টের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। এখনও কোনও অসঙ্গতি নেই। কোথাও অসঙ্গতি দেখা গেলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”