জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত ইসরাফিল। ছবি: সুমন সাহা
দুই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বৃহস্পতি ও শুক্রবার। কুলতলির ওই ঘটনার তদন্তে নেমে দুই মহিলাকে শনাক্ত করা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে ক্যানিংয়ের বুদোখালি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলার সম্পর্কিত শ্বশুর এবং নিজের শাশুড়িকে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত এক মহিলার নাম মুস্তারি বিবি (৩৭)। অন্য জন তাঁর খুড়তুতো বোন আবিদা খাতুন (৩০)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানার ঘোড়ারদলে। শুক্রবার রাতে মুস্তারির ভাই রিয়াজুদ্দিন কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বছর চারেক আগে মুস্তারির বিয়ে হয় ক্যানিংয়ের উত্তর বুদোখালির বাসিন্দা মিজানুর মণ্ডলের সঙ্গে। কিছু দিনের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। মুস্তারি শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন। স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করেন। তার পর থেকে কখনও বাপের বাড়িতে, কখনও ক্যানিংয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন মুস্তারি।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের বার্তায় ধনখড়ের নিশানায় মমতাই
এ দিকে, আদালতের নির্দেশে গত কয়েক বছর ধরে তাঁকে খোরপোশ দিয়ে আসছিল মিজানুর। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, খোরপোশের হাত থেকে বাঁচতেই মুস্তারিকে খুনের পরিকল্পনা করে মিজানুর। বুধবার খুড়তুতো বোন আবিদাকে নিয়ে ঘুটিয়ারিশরিফে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন মুস্তারি। খোরপোশের টাকা আনতে বোনকে সঙ্গে নিয়েই ক্যানিংয়ে যান তিনি। মিজানুর ও তার কাকা ইসরাফিল মোল্লা মুস্তারিদের কুলতলিতে পিয়ালি নদীর ধারে আসতে বলে। পুলিশের দাবি, নদীর পাড়ে নির্জন ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মুস্তারিকে। প্রমাণ লোপাট করতে আবিদাকেও খুন করে দেহ ফেলে পালায় তারা।
মিজানুরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে ইসরাফিলকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা পড়েছে মিজানুরের মা মুসলিমা বিবিও। খুনের পরিকল্পনায় মুসলিমা জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। তবে সে ঘটনাস্থলে ছিল না। পুলিশের অনুমান, খুনের সময়ে মিজানুর ও ইসরাফিল ছাড়া আরও কেউ ছিল। ধৃতদের জেরা করে তাদেরও খোঁজ চলছে।