চার দফার ভোটে বাংলায় নির্বাচন কমিশনের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। রাজ্যে তৃণমূলের সন্ত্রাস ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। কমিশনের নির্দেশিকা সত্ত্বেও রাজ্য ও জেলা প্রশাসন কী ভাবে নিজের মতো কাজ করছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘কাঠের পুতুল’ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে, তার বিশদ বিবরণ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
চতুর্থ দফায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সময় থেকেই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন অধীরবাবু। সে দিন কার্যত ‘ভোট লুঠ’ রুখতে এক বুথ থেকে আর এক বুথে দিনভর ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দিল্লিতে আজ কমিশন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে অধীরবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন তো বটেই, দিল্লি থেকে পাঠানো বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের ভূমিকা সন্দেহজনক। এঁরা সকলেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। যা কমিশনের জন্য কলঙ্কের ও লজ্জার বিষয়। এঁদের ভূমিকার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ তাঁর অভিযোগ, ভোটের দিন তিনি প্রার্থী হিসাবে একাধিক বার ফোন, এসএমএস করে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও দুবে কোনও জবাব দেননি। অধীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘যদিও সে সময়ে বিবেক দুবে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে খোশগল্পে ব্যস্ত ছিলেন!’’
অধীরবাবুর অভিযোগ, কংগ্রেসকে হারাতে কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছে তৃণমূলের। বহরমপুরে যেখানে কংগ্রেসের ‘গড়’, সেখানে ৯৭টি বুথে কেবল হোম গার্ড রাখা হয়েছিল। বহরমপুরের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি না জানালেও অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে বুথে বুথে গিয়ে চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব ভোট লুঠ রোখার। অথচ সেখানে কমিশন ও প্রশাসন নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় ছিল।’’ সামনের তিন দফা লোকসভা ভোট ও বিধানসভা উপনির্বাচন যাতে স্বচ্ছ ভাবে হয়, তার জন্যই কমিশনে দরবার করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যও দাবি করেছেন, কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যে সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার নিরসন কমিশনকেই করতে হবে।