আইনজীবীরা তাঁর এজলাস বয়কট করছেন। তাই নানা মামলায় অভিযুক্তদেরই সওয়াল করতে দিয়ে পরিস্থিতি সামলালেন বিচারক।
মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে সিজেএম (চিফ জু়ডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) হয়ে বর্ধমান আদালতে আসেন সঞ্জয়রঞ্জন পাল। সে দিনই বিকেলে শুনানি-পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন আইনজীবীরা। বুধবার দুপুরে বার অ্যাসোসিয়েশন জরুরি বৈঠক ডেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ওই সিজেএমের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও আদালতের কাজ তাতে আটকায়নি। অভিযুক্তেরাই নিজেদের হয়ে সওয়াল করেন। জামিনও পান চার জন।
এ দিন সিজেএমকে নির্দিষ্ট সময়ে এজলাসে গিয়ে কাজ সারতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন তাঁর এজলাসে ২২টি মামলার ৪৫ জন অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়েছিল। সাতটি মামলায় ১৫ জন অভিযুক্ত কাঠগড়া থেকেই জামিন চেয়ে সরাসরি বিচারকের কাছে আবেদন করেন। জামিন পাওয়া বর্ধমানের নারিদাসপাড়ার সাগর দাস, জামালপুরের বেত্রাগড়ের অজিত মুদি ও গলসির কাঞ্চন সামন্তরা বলেন, “বিচারক আমাদের বললেন, ‘তোমরা কেউ, কিছু বলতে চাও’। হাতজোড় করে বললাম, ‘ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। জামিন দিন’। জামিন পাই।”
এ ভাবে এজলাস বয়কট করা মানে তো বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি? সদনবাবুর দাবি, “বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থেই বয়কট। আমরা অভিযুক্তদের প্রতিনিধি। বিচারক আইনজীবীদের অপমান করবেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ বহু চেষ্টা করেও সিজেএমের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি।