দুর্ঘটনায় আহত যুবক। রবিবার আরজিকরে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবেশীকে দাহ করে সপরিবার ম্যাটাডর ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের তপতী রায়। ডান হাতটা জানলার বাইরে ছিল তাঁর। রবিবার ভোরে আহিরীটোলা মোড়ের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা ম্যাটাডর ভ্যানের ধাক্কায় সেই হাত কাটা পড়ল তপতীদেবীর। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি ম্যাটাডরের মুখোমুখি ধাক্কায় আহত মোট ছ’জন। আহতদের মধ্যে তপতীদেবী ও আরও এক জন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনায় মালবাহী ম্যাটাডরের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাড়িটি আটক করেছে বড়তলা থানার পুলিশ।
এই দুর্ঘটনা উস্কে দিয়েছে শহরে একই ধরনের কিছু বিপত্তির স্মৃতি। গত মাসেই ডায়মন্ড হারবার রোডে দু’টি বাসের সংঘর্ষে হাত ছিন্ন হয় দুই যাত্রীর। ২০০৯-এ ময়দানের কাছে এক দম্পতির হাত কাটা যায় বাসের রেষারেষিতে। বছর তিনেক আগে হাওড়ায় হাত ঝুলিয়ে বাসে বসে থাকা এক কিশোরীর হাত মারাত্মক জখম হয়। রাজ্য জুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর শত প্রচার সত্ত্বেও চালক বা সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কোনও সচেতনতা তৈরি হয়নি, এ দিনের দুর্ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।
আরও পড়ুন: তর্ক থাক, বঙ্গে পৃথক পথ খুঁজছে সিপিএম
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন নিমতলা ঘাট থেকে তিনটি ম্যাটাডরে করে বাগুইআটির বা়ড়িতে ফিরছিলেন তপতীদেবীরা। আহিরীটোলা মোড়ের কাছে একটি মালবাহী ম্যাটা়ডর নিয়ন্ত্রণ হারালে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাটাডরের ধাক্কায় তপতীদেবীর ডান হাতের কনুই থেকে বাকি অংশ কেটে রাস্তায় পড়ে যায়। তপতীদেবী ছাড়াও ম্যাটাডরে থাকা আরও পাঁচ জন কমবেশি আহত হন। পুলিশ সূত্রের খবর, আহতদের পরিজনেরাই অন্য গাড়িতে করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। পৌঁছন জো়ড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট রবি আলম ও জিতেন চক্রবর্তী। তাঁরাই আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও তপতীদেবী ও নীলিমা রায়কে ভর্তি রাখা হয়েছে।