প্রতীকী ছবি।
নাম এক। কিন্তু পাসপোর্ট একাধিক! প্রতিটি পাসপোর্টে ছবিও আলাদা আলাদা! শিশু পাচারের অভিযোগে ধৃত দম্পতি সাজিদ খান পাঠান এবং পরভিন খানকে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এই পাসপোর্ট জালিয়াতির কাজে সাহায্য করায় গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় দীক্ষিত নামে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে। হরিদেবপুরের কবরডাঙার বাসিন্দা সঞ্জয়ের মার্কুইস স্ট্রিটে একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি রয়েছে। শিশু পাচারের কথা জেনেই সঞ্জয় পাসপোর্ট জালিয়াতি করত বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মার্কুইস স্ট্রিটের অফিসে হানা দিয়েই স়ঞ্জয়কে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ এবং তিনটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু নথিও মিলেছে। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই চক্রে পাসপোর্ট অফিসের কেউ জড়িত কি না, তা জানতে সঞ্জয়কে জেরা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলিন লেনের বাসিন্দা সাজিদ এবং পরভিনের যমজ শিশুকন্যা রয়েছে। তাদের নামে পাসপোর্ট তৈরি করে অন্য শিশুদের নিয়ে বিদেশে যেত ওই দম্পতি। তার পরে সেখানেই বিক্রি করে দিত তাদের। গত এক বছরে তারা তিন বার মেক্সিকো ও আমেরিকায় গিয়েছিল। গত রবিবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অন্তত তিনটি শিশুকে পাচারের খবর মিলেছে। ওই শিশুদের কোথা থেকে আনা হয়েছিল, তা জানাতে চায়নি পুলিশ। বিদেশে ওই শিশুরা কোথায় রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মার্কিন ও মেক্সিকো দূতাবাসের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলেও লালবাজার জানিয়েছে।