—ফাইল চিত্র।
পুলিশের নিজস্ব বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। কিন্তু শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেই ‘বিভাজন’ যাতে প্রভাব না ফেলে, শনিবারের মাসিক অপরাধ বৈঠকে সেই বার্তাই দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। লালবাজারের খবর, সম্প্রতি রাতের রাজপথে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্তের হেনস্থার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। থানার এলাকা ভাগাভাগিও তার একটি কারণ বলে জানা যায়। কমিশনারের এ দিনের মন্তব্যে সেই ‘বিভাজন’-এর প্রসঙ্গই উঠে এসেছে বলে মনে করছেন পুলিশকর্মীদের অনেকে।
ওই ঘটনার পরে গত দিন দশেক ধরে রাজপথে ট্র্যাফিক, গোয়েন্দা বিভাগ এবং থানা মিলে বেপরোয়া মোটরবাইক ও গাড়ি রুখতে অভিযান চালিয়েছে। এ দিনের অপরাধ বৈঠকে জানা গিয়েছে, এই ক’দিনে বেপরোয়া বাইক ও গাড়ি চালানোর ঘটনায় প্রায় ১০ হাজার মামলা করা হয়েছে। যা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিশনার। জানিয়েছেন, দায়িত্ব বিভাজন এড়িয়ে কলকাতা পুলিশের সব বিভাগকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এ দিন আদতে অপরাধ বৈঠক হলেও রীতি বদলে ট্র্যাফিকের অফিসারদেরও ডাকা হয়েছিল। এত দিন অপরাধ বৈঠকে মূলত থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের ডাকা হত। এ দিনের বৈঠকে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করলে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কমিশনার। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বারবার কেউ তা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার তদন্ত কী অবস্থায় রয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন পুলিশ কমিশনার। ওই সমস্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে যথাযথ চার্জশিট দেওয়া হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। এর বাইরে রাজপথে বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল সম্পর্কিত বোর্ড লাগানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, গত কয়েক মাসে শহরে গাড়ি চুরির ঘটনা বেড়েছে। ছিনতাইও হয়েছে। এই ধরনের অপরাধ কেন বাড়ছে, তা জানতে চান অনুজ। শহরে সম্প্রতি যে ক’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলির তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়েও খোঁজ করেন তিনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।