rainfall

Dum dum: দুর্যোগের প্রস্তুতি সত্ত্বেও জল নামা নিয়ে সংশয় রয়েছেই

বাসিন্দাদের একাংশের মতে, খাল সংস্কারের কাজ বহু দিন হয়নি। তার ফলেই বর্ষায় বার বার ভুগতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

অতি ভারী বর্ষণের জেরে গত সপ্তাহে লাগাতার জেরবার হয়েছেন দমদমের তিনটি পুর এলাকার বাসিন্দারা। খালের জল উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই রেশ মিটতে না মিটতেই ফের হাজির নিম্নচাপ। তিনটি পুর এলাকাতেই তাই দুর্যোগ মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসাবে চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তবে জল জমলে কত দিনে তা সরানো যাবে, তার স্পষ্ট উত্তর নেই কোনও পুরসভার কাছেই। এ বিষয়ে পুরকর্তারা সকলেই নিজেদের অসহায়তা ব্যক্ত করেছেন।

Advertisement

ওই তিন পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের মতে, খাল সংস্কারের কাজ বহু দিন হয়নি। তার ফলেই বর্ষায় বার বার ভুগতে হচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে তিন পুর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, দমদম থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত অংশে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিকল্পনা করছে রাজ্য প্রশাসন।

তবে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দুর্যোগ এলে তার মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত বলেই জানিয়েছে তিন পুরসভা। গত সপ্তাহে উত্তর দমদম পুরসভার ১৫-২০টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই পুরসভার। মুখ্য প্রশাসক বিধান বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা কন্ট্রোল রুম চালু করেছেন। পুরসভার বিভিন্ন দফতর সক্রিয় থাকছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরাও থাকবেন। উত্তর দমদম পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮৩৩৪৯৩৭৬০৭। মুখ্য প্রশাসক আরও জানান, মাইকিং করে আবাসিকদের কাছে ট্যাঙ্কে জল ভরে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। পুরসভার জলের ট্যাঙ্কারও ভরে রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত পাম্প মজুত করা হয়েছে। দমকল, সিইএসসি এবং পুরসভার কর্মীরা থাকছেন।

Advertisement

একই ভাবে কর্মীদের প্রস্তুত রেখেছে দমদম পুরসভাও। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বরুণ নট্ট জানান, কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০৩৩) ২৫৫১-৩০১৭।

অতি বর্ষণে দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পায়নি দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাও। দমদম পার্ক, কালিন্দী, মাঠকল, জ’পুর, মধুগড়, বেদিয়াপাড়া-সহ একাধিক এলাকা থেকে জল নামাতে কয়েক দিন পেরিয়ে গিয়েছিল। জমা জলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বান্ধবনগরে দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। তাই এ বার দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি
পুরসভার। মুখ্য প্রশাসক জানান, পুরসভার একটি অংশে ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে দুর্যোগ সামলাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য-সহ কর্মীরা থাকছেন। কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০৩৩) ২৫৬০-২৩৫৭। পুরসভার সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন। তবে ভারী বৃষ্টির জেরে খাল ভরে গেলে পাম্প চালিয়েও দ্রুত এলাকা থেকে জল নামানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন পুরকর্তারাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement