সরস্বতী প্রতিমার ভাসানে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে বচসা বাধল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। শুক্রবার রাতে বেলুড়ের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে হরিচরণ ব্যানার্জি রোডের ঘটনা। এর জেরে একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিসর্জনে জোরে মাইক বাজানো হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন বাসিন্দা। তা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হলেও পরে বিসর্জন দিয়ে ফেরার সময়ে পুজোর আয়োজনকারীদের উদ্দেশ্যে ওই বাসিন্দারা অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তখনই স্থানীয় বাসিন্দা তথা ডিওয়াইএফআই নেতা প্রদ্যোৎ ঘোষের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করেছিলেন যে বাসিন্দারা, তাঁদের মধ্যে অঞ্জন দাস, অনাথ কর্মকারদের অভিযোগ, ডিজে বাজাতে বারণ করায় তাঁদের উপরে হামলা চালান পুজোর আয়োজক কিছু যুবক। তাতে মদত দিচ্ছিলেন প্রদ্যোতবাবু। এর পরে প্রবীণ বাসিন্দা তথা তৃণমূলকর্মী অঞ্জনবাবুদের হেনস্থার খবর পেয়ে এলাকারই আরও কয়েকজন যুবক চলে আসেন। তাঁদের সঙ্গেও বচসা বাধে। আর তাতেই প্রদ্যোতবাবুর বাড়িতে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রদ্যোতবাবুর ভাই পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘দাদা বিষয়টির মধ্যেই ছিলেন না। কিন্তু যেহেতু আমরা সিপিএম করি, তাই অহেতুক আমাদের উপরে সমস্ত দায় চাপিয়ে বাড়িতে হামলা চালানো হল। পুলিশও তেমন ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’
যদিও বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব তামাঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘মাইক বাজানো নিয়ে বাসিন্দাদের নিজেদের মধ্যে বচসা। প্রবীণ লোকেদের হেনস্থা করাতেই বচসা বেড়েছে। দু’পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মেটানো হবে।’’ হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অঞ্জনবাবুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। খবর পেয়ে প্রদ্যোতবাবুদের বাড়ি গিয়েও অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ।’’