দক্ষিণ দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
আবাসিক বাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে বাণিজ্যিক কাজে। এ দিকে, সেই বাড়ির সম্পত্তিকর নির্ধারিত হচ্ছে আবাসিক খাতেই। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে দক্ষিণ দমদমে। কোথাও রেস্তরাঁ, কোথাও মেস, কোথাও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সে সব থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, ততটা পুর কোষাগারে জমা পড়ছে না। কারণ, কর নির্ধারণ হচ্ছে আবাসিক বাড়ি হিসাবেই।
আয় বৃদ্ধি করতে এমন সিদ্ধান্ত কেন কার্যকর করতে পারছে না দক্ষিণ দমদম পুরসভা? সূত্রের খবর, কতগুলি আবাসিক বাড়ি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, তা ঠিক করতে সমীক্ষা চালানো এবং সে সব ক্ষেত্রে কর নির্ধারণের সিদ্ধান্তও নিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে আজও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।
পুরসভার একাংশের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তে কোনও কোনও অংশের আপত্তি রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে পুরসভার বাজেটে সম্পত্তিকর থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। গত বছর সম্পত্তিকর বাবদ আদায় হয়েছিল ২০ কোটি টাকা। স্থানীয়দের
একাংশের কথায়, আবাসিক বাড়ি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করে কেউ আয় করতেই পারেন। অথচ, সেই সব বাড়ির কর নির্ধারিত হচ্ছে আবাসিক বাড়ি হিসাবেই। এ দিকে, আর্থিক ক্ষতিতে পুরসভা জেরবার বলে অহরহ শোনা যায়।
প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও কেন পুরসভা তা কার্যকর করতে পারছে না? দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,
পুরসভার আয় যেখানে বাড়বে, সেখানে কোনও পুরপ্রতিনিধি আপত্তি করেছেন বলে জানা নেই। সকলেই একমত এবং সহযোগিতা
করতে চান। পুরসভার আয় বাড়ানো প্রয়োজন।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের দাবি, আপত্তি উঠেছিল। পাশাপাশি, ছোট ব্যবসায়ীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। যদিও চেয়ারম্যান পারিষদ পার্থ বর্মা জানান, আবাসিক জায়গাকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করলে সেই মতো কর নির্ধারণের একটি পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু তাতে অনেকের আপত্তি রয়েছে। তাঁদের বুঝিয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে