পঞ্চমীর সন্ধ্যায় কলকাতার বহু এলাকায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ছবি: ভাস্কর মান্না।
স্থানীয় মেঘই ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ভিজিয়ে দিল কলকাতাকে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উত্তর-পূর্ব-মধ্য কলকাতার পাশাপাশি ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হয় সল্টলেক-নিউটাউনে। বৃষ্টির দাপট দেখা যায় হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার একাংশেও। শনিবার সন্ধ্যার ওই বৃষ্টি প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাত সওয়া ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাববনা রয়েছে। তবে অন্য কোনও কারণে নয়, স্থানীয় মেঘের জন্যই বৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই একডালিয়ার পুজোর মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। নিজস্ব ছবি।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দিন বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। সন্ধ্যায় তারা বিবৃতি জারি করে জানায়, কিছু ক্ষণের মধ্যেই শহরে বৃষ্টি শুরু হবে। সেই মতো সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বৃষ্টি শুরুও হয়। আচমকা বৃষ্টির কারণে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে পড়েন। অনেকেই ছাতা নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তবে বেশির ভাগই ছাতা নিয়ে বেরোননি। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েন। রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা হয়ে যায়। সবচেয়ে সমস্যা পড়েন ছোট দোকানিরা। যাঁরা বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল চত্বরে পসরা নিয়ে বসেছিলেন। আচমকা বৃষ্টির ফলে তাঁরা দোকানপাট ভাল করে বন্ধও করতে পারেননি। বৃষ্টি কিছুটা কমতেই অনেকে কাকভেজা হয়ে মেট্রো ধরে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। ফলে মেট্রোয় তুমুল ভিড় হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে রাত ১০টা ৫০-এ শেষ মেট্রো ছাড়বে। শহরে সারারাত বাসও চলবে। স্পেশাল লোকাল ট্রেনও চালাবে রেল। যদিও ওই ট্রেন চলার পরেও ভিড় সামলানো যায়নি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য অংশে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাব বেশি পড়বে উপকূলবর্তী জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে হতে পারে মাঝারি বৃষ্টি। সেই সঙ্গে পশ্চিমের কিছু জেলা, অর্থাৎ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় ২ থেকে ৫ অক্টোবর— সপ্তমী থেকে দশমী মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বভাস, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাড়তে পারে বৃষ্টি। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।