arrest

Arrest: বালিগঞ্জের গুলি-কাণ্ডে আরও এক জন ধৃত ঝাড়খণ্ডে

গত ৮ জানুয়ারি শরৎ বসু রোডে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে গুলি চালানোর ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিনেদুপুরে বালিগঞ্জ থানা এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ড থেকে রবিকুমার গুপ্ত (২২) নামে ওই যুবককে ধরা হয়। ঘটনার সময়ে রবিকুমার ওই বেসরকারি অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল বলেই পুলিশের দাবি। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

গত ৮ জানুয়ারি শরৎ বসু রোডে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে গুলি চালানোর ওই ঘটনা ঘটে। অফিসের রক্ষীরা জানিয়েছিলেন, এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার নামে জোর করে ঢুকে পড়েছিল এক যুবক। ভিতরে ঢুকেই রক্ষীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। এর পরেই আচমকা গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক ছড়ায়। রাতেই বালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা।

তদন্তে নেমে ওই অফিস ও সংলগ্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে গুলি চলল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঝাড়খণ্ডে বাবলু শ্রীবাস্তব, ভোলা পাণ্ডে-সহ একাধিক দুষ্কৃতীর দল রয়েছে, যারা ওই রাজ্যের কোলিয়ারি এলাকার ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করে। বছর দুয়েক আগে আমিন সাউ নামে আরও এক দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের কোলিয়ারি অঞ্চলে কলকাতার অনেক ব্যবসায়ীও ব্যবসা করেন। আমিনের দলবল তাঁদেরই ‘টার্গেট’ করতে শুরু করে। সেই মতো বালিগঞ্জের ওই ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই ছিল দুষ্কৃতী দলটির মূল উদ্দেশ্য।

Advertisement

পুলিশের মতে, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারলে কলকাতার বাকি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা সহজ হবে, এটাই ছিল দুষ্কৃতীদের ধারণা। সেই উদ্দেশ্যেই সে দিন অফিসে ঢুকে শূন্যে গুলি চালানোর পরে আমিনের নাম করে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। সেই সূত্রেই প্রথম জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতী আমিন ওই ঘটনার পিছনে রয়েছে।

পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলে বন্দি রয়েছে আমিন। এর পরেই জেলে গিয়ে তদন্তকারীরা আমিনকে জেরা করেন বলে সূত্রের খবর। গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের কুন্দা এলাকার বাড়ি থেকে প্রথমে অবিনাশকুমার রাউত ও পরে ওই রাতেই মোহনপুরের বাড়ি থেকে চন্দন নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে বিকাশকুমার পাণ্ডে নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত তিন জনকে জেরা করে মঙ্গলবার এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দেওঘরের কলেজ রোড থেকে রবিকুমার গুপ্তকে ধরা হয়। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement