বিরোধিতা: নয়া আইনের প্রতিবাদে মিছিলে। শুক্রবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন কয়েক জন। সেই ডাকেই শুক্রবার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতায় জড়ো হলেন চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা। সেই জমায়েত শেষ পর্যন্ত শুধু টলিউডে সীমাবদ্ধ থাকেনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারাও হাজির হয়েছিলেন সেখানে।
প্রতিবাদের পুরোভাগে ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা সুপ্রিয় সেন। যিনি এ বছরই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর ছবি ‘সুইমিং থ্রু ডার্কনেস’-এর জন্য। এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে করে ওই পুরস্কার বয়কট করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ফেসবুকে সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলাম আজকের মঞ্চে আসার জন্য। চলচ্চিত্র জগতের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও এসেছিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, সকলেই ক্ষোভে ফুটছেন।’’
এ দিনের প্রতিবাদ মঞ্চে এসেছিলেন পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, মনোজ মিশিগান, লেখিকা সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। দেখা গিয়েছে অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, সুদীপা বসু, আদিত্য সেনগুপ্ত, খেয়া চট্টোপাধ্যায়, চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী-সহ অনেককেই। সুদেষ্ণার কথায়, ‘‘আজকের মিছিলে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছেন। স্বচ্ছ, সুন্দর ভারতের কথা বলেছেন। কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে যে যাঁর মতো করে প্রতিবাদ করেছেন। আগামী দিনেও আমরা এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’’
তরুণ অভিনেতা আদিত্যের কথায়, ‘‘এর আগেও প্রতিবাদ মিছিলে আমি যোগ দিয়েছি। সিএএ এবং এনআরসি-র মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রের শাসক দল তাদের মতাদর্শ মানুষের উপরে চাপিয়ে দিতে চাইছে। তা কখনও বরদাস্ত করা হবে না।’’