কোভিড রুখতে মাস্ক দাওয়াই কলকাতা পুরসভার। ফাইল চিত্র।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে এ বার মাস্ক পরার উপরে জোর দিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার পুরসভার একটি বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ করেই কোভিড মোকাবিলায় কাজ করবে পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকেই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে। বৈঠক শেষে পুরসভার ডেপুটি স্পিকার অতীন ঘোষ জানান, কলকাতা পুরসভার মূল কার্যালয় এবং ১৬টি বরো অফিসে যাঁরা আসবেন, তাঁদের মাস্ক পরতে হবে। যাঁরা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আসবেন, তাঁদেরও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে শহরবাসীর জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক না করলেও, সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডেপুটি মেয়রের কথায়, “যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই টিকা নিয়েছেন। আমরা তৃতীয় টিকা চেয়েছি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রমণের হার বৃদ্ধির নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের পরেই কোভিড মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের কী করা উচিত, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগকে নিয়ে যে বৈঠক হয়, তাতে পুরসভার তরফে কোভিড সংক্রমণের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। বৈঠকে স্থির হয়, বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য হলেও, তা যাতে আর না বৃদ্ধি পায়, তার জন্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সামনে ইদ। তার আগে জনসমাগম বাড়বে এমনটা ধরে নিয়েই বাজারে বাজারে মাইকিং করে মাস্ক পরতে বলা হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই মাস্ক পড়ার প্রচার চলবে।
এ ছাড়া বুধবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে নিয়ে ডেঙ্গি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে। যেখানে ঠিক হয় ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য একটি প্রদর্শনী করা হবে। তার পর এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী সমস্ত ওয়ার্ডে ঘোরানো হবে। আগামী ২৮ এপ্রিল কলকাতা পুরসভার কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে শহর কলকাতার মানুষকে ডেঙ্গি সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ একাধিক মেয়র পারিষদ এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডেও একই ধরনের সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রচার অভিযান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।