প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনের আগে ফের উদ্ধার নগদ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের দুই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। পরে অবশ্য এক জন জামিনে ছাড়া পান। এর আগে গত সোম এবং মঙ্গলবার ভিআইপি রোড থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২২ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, ভোট প্রক্রিয়া শুরুর পরে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে এই প্রথম এত টাকা উদ্ধার করা হলেও কলকাতা পুলিশ এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শুক্রবার হাওড়া সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে নাকা তল্লাশি করছিলেন গোলাবাড়ি থানার এসআই হেমন্ত গড়াই। ট্যাক্সিতে থাকা এক আরোহীকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। হেমন্তবাবু গাড়িটি আটকে তল্লাশি করতেই দেখা যায়, একটি ট্রলি ব্যাগের মধ্যে রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
সব ৫০০ টাকার নোট। ঘটনার সময়ে কাছেই ছিলেন হাওড়ার নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক মণীশকুমার গুপ্ত। খবর পেয়ে তিনি এসে ওই যুবককে গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী। বাড়ি ওড়িশার খুর্দা রোডে। সেখান থেকে ব্যবসার কাজের জন্য নগদ ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি বড়বাজারে আসছিলেন। পরে আয়কর দফতরের অফিসারেরা এসে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, হার্ডওয়্যারের মালপত্র কিনতে এসেছিলেন। যদিও তাঁর বক্তব্যের পক্ষে তিনি কোনও তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেননি। এর পরেই পুলিশ পূর্ণচন্দ্রকে গ্রেফতার করে।
অন্য দিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বড়বাজার থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণি থেকে লালবাজারের ওয়াচ বিভাগের গোয়েন্দারা সাদাব আহমেদ সিদ্দিকা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্র নগরের বাসিন্দা সাদাবের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় দশ লক্ষ টাকা। পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি দিল্লির একটি সংস্থায় জিনিস সরবরাহ করেছিলেন।
বকেয়া সেই টাকা হাওলা মারফত তাঁর কাছে আসে। কিন্তু সাদাব কোনও তথ্যপ্রমাণ দেখাতে না পারায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে, বাজেয়াপ্ত হয় ওই টাকা। পরে অবশ্য তিনি জামিন পান।