প্রতীকী ছবি।
পুজোহীন এলাকা, ফাঁকা রাস্তা অথবা উড়ালপুল— পুজোয় পুলিশের নজরে থাকবে এই জায়গাগুলিও। পুজোর ক’দিন ভিড় সামলানোর পাশাপাশি, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি বা বাইক চালানো রুখতে এই সমস্ত ফাঁকা জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত নাকা তল্লাশি চালাবে পুলিশ। বেপরোয়া ভাবে হেলমেট না পরে মোটরবাইক বা গাড়ি চালানো অথবা বাইকে দু’জনের বেশি আরোহী ইত্যাদি বিষয়ে ওই ক’দিন কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা শুক্রবার জানাচ্ছেন, গত তিন মাস ধরে রাতের শহরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা তল্লাশি চলছে। পুজোর সময়ে ভিড় সামলানোর পাশাপাশি নাকা তল্লাশি চালানো হবে ই এম বাইপাস, স্ট্র্যান্ড রোডের মতো ফাঁকা রাস্তা, উড়ালপুল এবং পুজোহীন এলাকাগুলিতে, যেখানে তুলনামূলক ভাবে লোক কম থাকে। ওই কর্তা বলছেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে যে, পুলিশ পুজোয় ব্যস্ত থাকে বলে ওই সব এলাকায় ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা বেশি হয়। তা আটকানোই লক্ষ্য আমাদের।’
লালবাজার জানিয়েছে, পুজোর সময়ে যে সব পুলিশকর্মী এবং আধিকারিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। শুক্রবার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে পুজো বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যে এলাকা বা মণ্ডপে পুজোর দিনে কোনও পুলিশ আধিকারিকের দায়িত্ব পড়েছে, সেখানে আগেই গিয়ে মণ্ডপের ভিড় সামলানোর পরিকল্পনা দেখে আসতে। যাতে পুজোয় দর্শকের ভিড় বেশি হলে তা সামলাতে অসুবিধা না হয়।
সূত্রের দাবি, এ বারও পুজোর ভিড় সামলাতে তিন দফায় পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এক দল, বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মূল বাহিনী এবং রাত ১২টা থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত ভিড় সামলাতে মোতায়েন থাকবে আর একটি বাহিনী। সেই সঙ্গে পাড়ার ছোট পুজো মণ্ডপগুলিতে রাতে নজরদারির জন্য থাকছে পুলিশের বিশেষ দল। লালবাজার সূত্রের খবর, এত দিন পাড়ার মণ্ডপে সাধারণত রাত ১২টা পর্যন্ত দু’জন করে কনস্টেবল থাকলেও গভীর রাতে কোনও পুলিশি প্রহরা থাকত না। এ বছর থেকে গোয়েন্দা বিভাগের সব শাখার এক জন করে পুলিশকর্মী নিয়ে সাত-আট জনের একটি দল রাতভর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাবে। তাছাড়া শহর জুড়ে পুজোর সময়ে থাকছেন গোয়েন্দা বিভাগের ‘ওয়াচ সেকশন’ এবং ডাকাতি দমন শাখার গোয়েন্দারাও।