rainfall

Rainfall: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফের ভাসল শহর

পথের জমা জল সরে যাওয়া নিয়ে মতের পার্থক্যও ধরা পড়ল পুরসভার নিকাশি দফতরের মন্তব্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৭
Share:

ভবিতব্য: সল্টলেকে জমা জলের মধ্যে দিয়েই সাইকেলে যাত্রা। নিজস্ব চিত্র।

কখনও ঝিরঝিরে, কখনও বা ঝমঝমিয়ে। মঙ্গলবার দিনভর নিম্নচাপের জেরে এমন বৃষ্টিতে শহরের বেশ কিছু এলাকা ফের জলমগ্ন হয়ে পড়ল। যানজটে নাকাল হতে হল পথে বেরোনো মানুষকে। জল জমে রইল দীর্ঘক্ষণ। পথের জমা জল সরে যাওয়া নিয়ে মতের পার্থক্যও ধরা পড়ল পুরসভার নিকাশি দফতরের মন্তব্যে।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন উত্তর কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, মহাত্মা গাঁধী রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, স্ট্র্যান্ড রোড দীর্ঘক্ষণ জলমগ্ন ছিল। বাদ যায়নি ই এম বাইপাস থেকে আনন্দপুরের দিকে যাওয়ার রাস্তাও। পুলিশ সূত্রের খবর, আনন্দপুরে দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকায় মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির রোগীর পরিজনদের সমস্যায় পড়তে হয়।

পুরসভার তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ছ’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মানিকতলা ও ঠনঠনিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৮ মিলিমিটার। বীরপাড়া, বেলগাছিয়া ও ধাপায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৭, ৯১ এবং ৯০ মিলিমিটার। তপসিয়া, উল্টোডাঙা এবং পামারব্রিজে যথাক্রমে ৮৩, ৯৬ এবং ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বেহালার জিঞ্জিরাবাজার ও ফ্লাইং ক্লাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭৫ মিলিমিটার করে। দুপুর দুটো থেকে তিনটে পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টায় ওই দুই জায়গায় প্রায় ২৪ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হওয়ায় বেহালার একাংশে জল জমে যায়। পুরসভা সূত্রের খবর, বুড়োশিবতলা মেন রোড, এস এন রায় রোড, এম জি রোড, বীরেন রায় রোড (পূর্ব), বীরেন রায় রোড (পশ্চিম)-এ জল জমে থাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। টানা বৃষ্টিতে গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোড, মুদিয়ালি রোডেও জল জমে।

Advertisement

পুর নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, জোয়ারের জন্য এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত গঙ্গা সংলগ্ন লকগেট বন্ধ থাকায় শহরের বিভিন্ন অংশের জমা জল দেরিতে নেমেছে। অথচ ওই দফতরেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহের দাবি, ‘‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লকগেটগুলি খোলা থাকায় জমা জল দ্রুত সরেছে। শুধুমাত্র কয়েকটি নিচু এলাকায় জল জমে ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement