পারাপার: পথচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো হয়েছে লেভেল ক্রসিংয়ের মতো এই গেট। স্ট্র্যান্ড রোড ও মহাত্মা গাঁধী রোডের মোড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
রেলের পথে পুলিশ। বেপরোয়া পথচারীদের রাস্তা পারাপার ঠেকাতে রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের মতো রাস্তার এক পাশে গেট বানাল পুলিশ।
উত্তর বন্দর থানার সামনে স্ট্র্যান্ড রোড এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের মোড়ে ওই গেট বসানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেপরোয়া পারাপার ঠেকাতে পরীক্ষামূলক ভাবেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে গেটটি কাজ শুরু করেছে। যন্ত্রের বদলে পুলিশকর্মীরাই ওই গেট নামানো-ওঠানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। বিকেলের দিকে অফিস ফেরত পথচারীরা ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে স্ট্র্যান্ড রোড পেরিয়ে যাতে হাওড়া ব্রিজে উঠতে না পারেন, মূলত তার জন্যই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ওই গেটের ব্যবহার করছে পুলিশ। তবে অন্য সময়ে পথচারীদের ভিড় বেশি হলে গেট নামিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা। লালবাজারের কর্তাদের দাবি, ‘‘ওই গার্ডের পক্ষ থেকে স্থানীয় উদ্যোগে পরীক্ষামূলক ভাবে এটা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে শহরের অন্য জায়গাতেও ওই ব্যবস্থা করা হতে পারে।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, পথ দুর্ঘটনায় এ শহরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় পথচারীদের। তবু শহরের বুকে পুলিশি নিষেধ অমান্য করে যেখান-সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার ঠেকানো যায়নি। বড়বাজার, পোস্তা, শিয়ালদহের মতো জনবহুল বিভিন্ন জায়গায় পথচারী এবং যানবাহন একই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। বিভিন্ন রাস্তায় সিগন্যাল খোলা অবস্থাতেও চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে পথচারী রাস্তা পারাপারের চিত্রও নতুন নয়। এর জন্য অফিস টাইমে পার্ক স্ট্রিট, বিবাদী বাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশকর্মীরা দড়ি দিয়ে পথচারীদের পথ আটকান। পুলিশের দাবি, ওই ব্যবস্থা সাময়িক। তাই পথচারীদের বাগে আনতে পরীক্ষামূলক ভাবে নতুন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের গেটের ধাঁচে ওই গেট তৈরি করে তা বসানো হয় বড়বাজারের স্ট্র্যান্ড রোড এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের মোড়ে। ট্র্যাফিক পুলিশের দাবি, পুজো বা খেলার সময়ে ভিড় আটকাতে ড্রপ গেট বসানো হলেও পাকাপাকি ভাবে লোহার গেট এ বারই প্রথম বসানো হল শহরে।