প্রতীকী ছবি।
লেক টাউন মোড় পেরিয়ে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে পাশ দিয়ে ধূসর রঙের গাড়িটা বেরিয়ে গেল। দেখলাম, একটুও গতি না কমিয়েই মূল রাস্তা ছেড়ে সার্ভিস রোড ধরল গাড়িটা। নিজে গাড়ি চালাই। দেখেই বুঝি, ওই গাড়ির গতি কোনও ভাবেই আশির কম ছিল না। সোজা খালপাড় সংলগ্ন ফুটপাতের উপরে উঠে গেল গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গেই কানে এল বিকট শব্দ। ডিভাইডারের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল গাড়ি। গিয়ে দেখি, রেলিংয়ের লোহা উইন্ডস্ক্রিন ভেদ করে ঢুকে যাওয়ায় মারাত্মক জখম হয়েছেন সওয়ারিরা। পিছনের সিট থেকে এক যুবক বেরিয়ে আসেন। জানলাম, ওঁর নাম মহম্মদ সামসুল। তিনি জানালেন, যাঁর কপালে লোহা ঢুকেছে, তাঁর নাম তারিক। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ওঁদেরই আর এক বন্ধু, কৌসর।
পুলিশের সাহায্যে কৌসর ও সামসুলকে হাসপাতালে পাঠানো গেলেও তারিককে উদ্ধার করতে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে গেল। প্রথমে পুলিশকর্মীরা মাথায় লোহা ঢোকানো অবস্থাতেই তারিককে বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এর পরেই দমকলে খবর যায়। কিন্তু দমকল আসতে যে দেড় ঘণ্টা লেগে যাবে, ভাবিনি। রাত আড়াইটে নাগাদ মানিকতলায় খবর দেওয়ার আধ ঘণ্টা পরেও কেউ আসেননি। পরে দমদম থেকে দমকলকর্মীরা পৌঁছে জানান, তাঁদের কাছে গ্যাস কাটার বা ডায়মন্ড কাটার নেই! শেষে ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ মানিকতলার দমকলকর্মীরা ডায়মন্ড কাটার এনে তারিককে উদ্ধার করেন। দেড় ঘণ্টা ওই অবস্থায় যন্ত্রণায় ছটফট করলেন তারিক!