পরপর বদলির সিদ্ধান্ত কঠিন, স্বীকার সিপি-র

সম্প্রতি কমিশনার তাঁর বার্তায় বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ঠিক পথেই চলছি। ইতিবাচক সাড়া মানুষের থেকে পেয়েছি।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৬
Share:

কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

গত কয়েক মাসে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে একের পর এক অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল লালবাজার। ওই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার নির্দেশেই। প্রশাসনিক এবং সামাজিক স্বার্থেই সেই কঠিন সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন কমিশনার। সম্প্রতি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপে বাহিনীর সদস্যদের সিপি জানিয়েছেন, ওই সব কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি ‘ব্যথিত’।

Advertisement

সম্প্রতি কমিশনার তাঁর বার্তায় বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ঠিক পথেই চলছি। ইতিবাচক সাড়া মানুষের থেকে পেয়েছি। কিন্তু কয়েকটি ছোট অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে কয়েক জন অফিসারের বিরুদ্ধে আমায় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। তার জন্য আমি ব্যথিত।’’ তবে, যে সব অফিসার লালবাজারের নির্দেশ মানছেন, তাঁদের উদ্বেগের মধ্যে থাকতে বারণ করেন কমিশনার।

ভোটের পরে দায়িত্ব নিয়েই বাহিনীর কাজে কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কলকাতার সিপি। বিশেষ করে জুন মাসে মডেল ঊষসী সেনগুপ্ত রাতের শহরে দু’জায়গায় হেনস্থা হন। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ এফআইআর না নেওয়ায় ঊষসীকে দু’টি থানায় ঘুরতে হয়। তার পর থেকেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বাহিনীর কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের উপরে হামলায় পুলিশের গাফিলতি সামনে আসতেই একই দিনে বদলি হন হাসপাতালের ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং এন্টালি থানার তৎকালীন অতিরিক্ত ওসি। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে একের পর এক ওসি এবং সাব-ইনস্পেক্টরেরা বদলি হন। এমনকি টালিগঞ্জ থানায় হামলার তিন দিনের মধ্যে সেখানেও ওসি বদলি হন।

Advertisement

লালবাজারে একাংশের মতে বদলির মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বাহিনীর মধ্যে যাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয় তাই কমিশনার নিজের অনুভূতির কথা বলেছেন। একই সঙ্গে বাহিনীর কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘গত দু’মাস ধরে ওসি থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সকলেই গভীর রাত পর্যন্ত নাকা তল্লাশি, অপরাধ হলে ছুটে যাওয়া, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের কর্তব্য করেছেন।’’ প্রণামের মতো প্রকল্প এবং রাখিবন্ধনের মতো কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন কমিশনার।

সূত্রের খবর, কর্তব্যে গাফিলতির ভয়ে নিচুতলার অনেক কর্মী ও অফিসার বাড়ি শহরের মধ্যে হলেও রাতে থানায় থেকে যাচ্ছেন। যে কোনও গোলমালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন থানার ওসি-ও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement