ফাইল চিত্র।
অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিষেবামূলক ফি (বিলার চার্জ) ইতিমধ্যেই মকুব করেছে কলকাতা পুরসভা। এ বার আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে অনলাইনে সম্পত্তিকর-সহ অন্য আর্থিক লেনদেনে উৎসাহ দিতে বাড়তি ছাড়ের কথা ভাবছেন পুর প্রশাসন। এ নিয়ে একটি প্রস্তাব তৈরির কাজও শুরু হয়েছে পুরসভায়।
পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অনলাইনে সম্পত্তিকর, ফি বা অন্য যে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেনে ছাড় দিয়ে গেলে পুর আইন সংশোধন প্রয়োজন। তাই ১৩১ ধারার ৩ উপধারা সংশোধন করতে চাইছে পুরসভা। সম্পত্তিকর, চার্জ, ফি-সহ নানা বিষয়ে প্রদানকারীর কাছ থেকে যে হারে অর্থ আদায় করে পুরসভা, তার উল্লেখ রয়েছে পুর আইনের ১৩১ ধারার ৩ উপধারায়। সংশোধিত আইনে ৩(এ) নামক আর একটি উপধারা সংযোজনের কথা বলা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত ওই উপধারায় অনলাইনে ছাড়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হবে। তার পরে তা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে ওই বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হবে। তবে এই ছাড়ের পরিমাণ কত হবে, তা এখনও স্থির হয়নি বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘বিলার চার্জ’ মকুব করা হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও সংস্থার বিল বা আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিষেবা বাবদ যে অর্থ দিতে হয়, পুরসভা এখন তা নিচ্ছে না। দালাল চক্রের রমরমা ঠেকাতে শহরবাসীকে অনলাইনেই লেনদেনের কাজ সারতে উৎসাহ দিচ্ছেন পুর প্রশাসন, যাতে পুর ভবনে বেশি মানুষের আনাগোনা কমে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘অফিসে কম লোক এলেই দালাল চক্রের উৎপাত কমবে। ফলে দুর্নীতিও কম হবে। তাছাড়া বাড়ি থেকে নাগরিকেরা সব পরিষেবা পেলে তাঁদেরও সময় বাঁচবে। পরিশ্রমও হবে না।’’
তবে অতিরিক্ত ছাড়ের এই বিষয়টি এখনও প্রস্তাব আকারে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। পুরসভার স্পেশ্যাল কমিশনারকে (রাজস্ব) এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কথা চলছে। দ্রুত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশা করছি।’’