রাস্তা সংস্কারে বন্দরও হাত ধরল পুরসভার

পোস্তায় রাস্তার বেহাল দশা দেখেও তা সারায়নি বন্দর। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি হুমকি দিয়েছিলেন বন্দর কতৃর্পক্ষকে। সেই টোটকায় কাজ হয়েছে বলে দাবি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০০
Share:

গার্ডেনরিচে চলছে কাজ। — নিজস্ব চিত্র

পোস্তায় রাস্তার বেহাল দশা দেখেও তা সারায়নি বন্দর। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি হুমকি দিয়েছিলেন বন্দর কতৃর্পক্ষকে। সেই টোটকায় কাজ হয়েছে বলে দাবি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার বিকেলে মেয়রের ঘোষিত পোস্তা পরিদর্শনে সামিল হন পোর্ট ট্রাস্টের ডেপুটি চেয়ারম্যান এস বালাজি অরুণকুমারও। ওই রাস্তা এবং এলাকার ‘শ্রী’ ফেরাতে পুরসভার সঙ্গে হাত লাগানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এলাকা ঘুরে শোভনবাবু এ দিন জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে খুব শীঘ্রই পোস্তায় রাস্তা, পয়ঃপ্রণালীর কাজ শুরু করা হবে।

Advertisement

বন্দর কতৃর্পক্ষের অধীনে থাকা পোস্তার বেহাল রাস্তা নিয়ে পুরসভা সরব হওয়ার আগেই গার্ডেনরিচে পোর্ট ট্রাস্টের আর এক রাস্তার সংস্কারে হাত দিয়েছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর। বন্দর বিধানসভা এলাকার সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডও বেহাল ছিল অনেক দিন ধরে। একে রাস্তা খারাপ, তার উপরে পরিসরও কম থাকায় যাতায়াতের অসুবিধাও হচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তা বন্দর কতৃর্পক্ষের হওয়ায় পুরসভাও নাক গলায়নি। পোর্ট ট্রাস্টকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। সমাধানের পথ চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদন পৌঁছয় নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁরই নির্দেশে এলাকার বিধায়ক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই রাস্তা সারানোর দায়িত্ব দেন কেএমডিএ-কে।

এ দিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘মানুষের প্রয়োজনের চেয়ে বড় কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েই বন্দরের ৯ নম্বর গেটের কাছে গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড সংস্কারের সঙ্গে আরও চওড়া করা হচ্ছে।’’ এবং সেই কাজে বন্দর কোনও বাধা দেয়নি বলে জানান তিনি। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার একটি অংশে কাজ প্রায় শেষ দিকে, অন্য অংশে কাজ চলছে। রাস্তা চওড়া হওয়ায় খুশি বাসিন্দারাও। ওই রাস্তার দু’ধার আলোয় সাজানো হবে বলে কেএমডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গার্ডেনরিচ শহরের প্রান্তে। কিন্তু শহরের মধ্যে বিশেষত বড়বাজার লাগোয়া এলাকা পোস্তার এমন হালে তিতিবিরক্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জগদ্ধাত্রী পুজোয় গিয়েই তারই আঁচ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে দিনই মমতা নির্দেশ দেন, বন্দর অপারগ হলে
সাধারণ মানুষের দায়বদ্ধতা নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকেই।

তার পরে মাস তিনেক পার হলেও পোস্তার হাল ফেরেনি। শেষমেষ বৃহস্পতিবার মেয়র জানিয়ে দেন, বন্দর না চাইলেও ওই রাস্তা সারাবে কলকাতা পুরসভা। তাতে বন্দরের কোনও ওজর-আপত্তি তাঁরা মানবেন না। এমনকী পুরসভার খরচে রাস্তা হয়ে গেলে বন্দর আর সেখানে কোনও পার্কিংয়ের সুযোগ পাবে না বলেও জানিয়ে দেন শোভনবাবু। বস্তুত মেয়রের ওই ধমকানিতেই কাজ হয়েছে বলে পুরকর্তাদের দাবি। মেয়র অবশ্য জানান, পোর্টের ডেপুটি চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন— পুরসভার সঙ্গে তাঁরাও ওই খরচের দায় নেবেন। আপাতত, রাস্তার সংস্কার, নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি রাস্তার দু’ধার আলোয় সাজানো হবে বলেও জানান মেয়র। কাজ শেষ হলে পার্কিং ব্যবস্থা কোথায় করা যায়, তা-ও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement