বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে আবাসিকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাজরা রোডে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। এর জেরে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার পরেই নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন একদল আবাসিক। সহ-উপাচার্য ও অন্য শিক্ষকেরা এসে পরিস্থিতি সামলান।
কিন্তু কেন এই হামলা, তার কারণ নিয়েই দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রাবাসে সারা দিনে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। বুধবার রাতের রক্ষী ভোর ৫টা নাগাদ চলে যাওয়ার পরে এ দিন সকালের রক্ষীর আসতে কিছুটা দেরি হয়। ছাত্রদের অভিযোগ, সে সময়ে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের চার-পাঁচ জন বহিরাগত পিছনের পাঁচিল টপকে ছাত্রাবাসে ঢুকে প়ড়ে। দোতলায় ছাত্রদের ঘরের ভিতরে ঢুকে তাঁদের যথেচ্ছ মারধর করে। বহিরাগতদের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা ছাত্রীও। আবাসিক ছাত্রদের আরও অভিযোগ, শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে রেখেই ওই ছাত্রেরা পালায়।
এর পরেই ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন আবাসিক ছাত্রেরা। কৃষি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র তাপস পাল বলেন, ‘‘আমাকে বিছানা থেকে তুলে ওরা চ়ড়, থাপ্পড়, ঘুষি মারতে শুরু করে। আমার জামা ছিঁড়ে দেয়। কিন্তু কেন এই আক্রমণ, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’
বিক্ষোভের খবর পেয়ে আসে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে এবং পুলিশি হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ ওঠে। এই ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি আবাসিকেরা। কেন এই হামলা, হামলা সত্ত্বেও পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল না, তা নিয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি বিক্ষোভকারীদের কাছে।