Kolkata Karcha

গঙ্গাজল মিশিয়ে বরফ খাওয়া

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকথায় আছে গঙ্গার দুই পাড়ে কোন্নগরে গুণেন্দ্রনাথ আর পানিহাটিতে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মধ্যে বন্দুকের সিগন্যালে ‘কথা বলা’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৭
Share:

Sourced by the ABP

বিয়াল্লিশ ডিগ্রিতে কলকাতার পরিত্রাহি অবস্থা। তা বলে এ যে স্রেফ ২০২৩-এরই কুখ্যাতি তা বলা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রতিষ্ঠা ১৮৭৫-এ, তার প্রথম ‘ইম্পিরিয়াল রিপোর্টার’ হেনরি ব্লানফোর্ড ১৮৮৯ সালে লিখছেন, এপ্রিল-মে মাসে শহরের তাপমাত্রা অনেক সময়ই ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত উঠে যায়।

Advertisement

ফ্রিজ বা এসি কালের গর্ভে, সামান্য বরফেরও সংস্থান যখন ছিল স্বপ্ন, সেই সময় কী ভাবে গরমের মোকাবিলা করত কলকাতা? নগরবাসীর সম্বল বাড়ির বাইরে ছাতা আর ঘরের মধ্যে তালপাতার ছোট-বড় হাতপাখা। এর পর এল টানা পাখার যুগ। বাড়িতে, বিশেষত খাবার ঘরে চল হয় এর। মহারাজা নন্দকুমারের বিচারের সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যে আক্ষরিক অর্থে গলদঘর্ম হয়েছিলেন তার প্রমাণ, দিনে কয়েক বার তাঁদের পোশাক পরিবর্তনের তথ্য। মালুম হয়, ১৭৭৫ সালে আপিস-কাছারিতে টানা পাখার আরাম ছিল না। তবে ঘর ঠান্ডা রাখতে খসখসের টাটি বা পর্দার চল ছিল লর্ড ক্লাইভের আমল থেকেই। ১৭৮৩-তে লেডি ক্লাইভ ও জনৈকা মার্গারেট ফোক-এর পত্র-যোগাযোগ থেকে জানা যায়, গরম থেকে বাঁচতে ক্লাইভেরও আশ্রয় ভেজা খসখসের পর্দার আড়াল।

দিনে বারকয়েক স্নান তখনও ছিল, তবে খাওয়ার ব্যাপারে ফারাক ছিল শহরের সাহেবপাড়া আর ‘ব্ল্যাক টাউন’-এর বাসিন্দাদের। বাঙালির ‘অম্বলে সম্বল’, কিন্তু সাহেবদের টেবিলে হত এলাহি আয়োজন। ক্ল্যারেট ম্যাডেরা ব্র্যান্ডি পান করতেন তাঁরা, তা ঠান্ডা করা হত সোরা দিয়ে। পরে বস্টন থেকে বরফ আমদানি শুরু হল। স্বামী বিবেকানন্দের ছোটকাকা, আইনজীবী তারকনাথ দত্তের ছিল বিদেশি বরফের শৌখিনতা। কালাপানি পেরিয়ে আসা বরফ বলে কথা, গোঁড়া লোকেরা জাত যাওয়ার ভয়ে বরফ খেতেন গঙ্গাজল মিশিয়ে! ‘চাই বরফ, মালাই বরফ, মালাই কুলফি বরফ’ ডাকে মুখর হত কলকাতা, ফেরিওয়ালার ডাকের সঙ্গে জড়িয়ে অমৃতলাল বসু থেকে রাধাপ্রসাদ গুপ্ত পর্যন্ত কয়েক প্রজন্মের গ্রীষ্মের স্মৃতি। মাঝেমধ্যে বেশ রাতে রসিকজন বেরিয়ে পড়তেন সিদ্ধির কুলফি খুঁজতে। বরফ আর মালাইয়ের শীতলতার সঙ্গে গ্রীষ্মসন্ধ্যায় মিশে যেত হুতোমের শোনা ‘চাই বেলফুল’ ডাক, অন্য এক জগতের উষ্ণ আহ্বান।

Advertisement

শুধু কি এখন? গরমে সে যুগেও পাহাড়ে যেতেন অনেকে। বা গঙ্গার ধারে বাগানবাড়িতে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকথায় আছে গঙ্গার দুই পাড়ে কোন্নগরে গুণেন্দ্রনাথ আর পানিহাটিতে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মধ্যে বন্দুকের সিগন্যালে ‘কথা বলা’। গ্রীষ্মের দিনে পথচারী মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য জলসত্র খুলতেন ধনী বাবুরা। সঙ্গে থাকত বাতাসা। শোনা যায়, তৃষ্ণার্ত এক বালকের হাতে জল তো বটেই, সঙ্গে নিজের তৈরি দু’টো নতুন মিষ্টি তুলে দিয়েই শুরু হয়েছিল নবীন দাশের রসগোল্লার জয়যাত্রা। এই সব নিয়েই পুরনো কলকাতার গরম-নরম কথকতা। ছবিতে উনিশ শতকের ‘পাঙ্খা পুলার’, চার্লস ড’য়লির আঁকা— উইকিমিডিয়া কমনস থেকে।

মহানগর ৬০

“জয়াদিকে তো বক্তা হিসেবে তেমন ভাবে পাওয়াই যায় না, এ বার সে সুযোগ উপস্থিত।” সন্দীপ রায় বলছিলেন ২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে জয়া ভাদুড়ীর (বচ্চন) বক্তৃতার কথা। ১ মে বিকেল ৫টায় নন্দনে অনুষ্ঠান, ‘সেলিব্রেটিং সিক্সটি ইয়ারস অব মহানগর’। ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবির ষাট পূর্তিতে অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি মহানগর ছবিতে ‘বাণী’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশকারী জয়া। প্রথম অভিনয়, সত্যজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা, পুণেতে অভিনয়শিক্ষায় সত্যজিতের উৎসাহ দান... বলবেন নানা বিষয়ে। তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে অদিতি রায়, থাকবেন সন্দীপ রায়ও। দেখানো হবে মহানগর-এর (ছবিতে পোস্টার) রেস্টোর্ড প্রিন্ট। প্রতি বছর ‘সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা’র আয়োজন করে ‘সোসাইটি ফর দ্য প্রিজ়ারভেশন অব সত্যজিৎ রায় আর্কাইভস’, পরিচিত ‘রায় সোসাইটি’ নামেই। ২০১৯-এ বলেছিলেন তরুণ মজুমদার, অতিমারি-উত্তর আয়োজন আবার।

পুরোধা

ভারতে স্বাধীন তথ্যচিত্র নির্মাণের অন্যতম পুরোধা তিনি। কর্মজীবন শুরু কার্টুনিস্ট হিসাবে, পরে তথ্যচিত্রকে বেছে নেন কে পি শশী। তৈরি করেছেন তিরিশেরও বেশি তথ্যচিত্র, দু’টি কাহিনিচিত্রও। সাধারণ মানুষের কাছে তথ্যচিত্রকে নিয়ে যাওয়ার তাগিদে গড়েন ‘মিডিয়া কালেকটিভ’, সমাজকর্মী হিসাবে বার বার ছুটে গিয়েছেন কৃষক মৎস্যজীবী জনজাতিদের মধ্যে। গত বছর প্রয়াত এই চলচ্চিত্রকার-সমাজকর্মীকে স্মরণ করবে ‘পিপল’স ফিল্ম কালেকটিভ’, আজ ২৯ এপ্রিল সন্ধে ৬টায় সুজাতা সদনে। দেখানো হবে শশীর দু’টি ছবি: নর্মদা আন্দোলন নিয়ে তৈরি আ ভ্যালি রিফিউজ়েস টু ডাই ও ওড়িশার কাশীপুরের উচ্ছেদ বিরোধী লড়াই নিয়ে ডেভলপমেন্ট অ্যাট গানপয়েন্ট; তাঁর তৈরি দু’টি মিউজ়িক ভিডিয়োও।

যুগান্ত

দান্তের ডিভাইন কমেডি কিনতে গিয়ে ধাক্কা। ‘ইনফারনো’, ‘পুরগেতোরিয়ো’ আছে, নেই ‘পারাদিসো’। দেখে তাঁর মন্তব্য: “জানি না কবে স্বর্গলাভ হবে!” তাঁকে কাছ থেকে জানা ছাত্রদের এ ঘটনা আজ বেশি মনে পড়ার কথা, কারণ ২৬ এপ্রিল চলে গেলেন নবতিপর অধ্যাপক অরুণকুমার দাশগুপ্ত। ষাটের দশকের প্রেসিডেন্সির ইংরেজি বিভাগ যে শিক্ষকদের ব্যক্তিত্ব ও প্রজ্ঞায় উজ্জ্বল, তাঁদের মধ্যেও স্বয়ংপ্রভ তিনি, ‘একেডিজি’। জন্ম ১৯৩২-এ, প্রেসিডেন্সিরই প্রাক্তনী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ডেরও। অধ্যাপক তারকনাথ সেনের স্নেহধন্য, চার দশকেরও বেশি দীর্ঘ শিক্ষকজীবনে নিজেও হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি অধ্যাপক। ইউরোপের রেনেসাঁস-এর সাহিত্য-শিল্প-দর্শন ছিল অধিগত ক্ষেত্র, ভারতে সেই চর্চায় তাঁর মনন-অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর কয়েক প্রজন্মের ছাত্রদের মধ্যে অনেকে কৃতবিদ্য, সকলেই প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের স্মৃতিমগ্ন আজ।

দুই দিশারি

অস্থির সময়। জীবন ও সৃষ্টিতে কী এক অসুখ বেঁধেছে বাসা। ভবিষ্যতের আশাবাদ পথ খুঁজছে অতীতচিন্তনে, স্মরণ করছে সেই বঙ্গগৌরবদের যাঁরা দেখিয়েছিলেন সত্য-সুন্দরের দিশা। এই ভাবনা থেকেই ‘সূত্রধর’ প্রকাশনা সংস্থা ও ‘অনুশীলন ফাউন্ডেশন’ স্মরণ করছে হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ও সরলাদেবী চৌধুরাণীকে। ২৯-৩০ এপ্রিল, বিডন স্ট্রিটে ছাতুবাবু-লাটুবাবুর ঠাকুরদালানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘বই-বাহিক মনন-উৎসব’, আলোচনা ও গ্রন্থপ্রকাশ। আজ সন্ধ্যায় হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ স্মৃতি-সম্মানে ভূষিত হবেন সমীরণচন্দ্র চক্রবর্তী, বলবেন কৃষ্ণশর্বরী দাশগুপ্ত ও আব্দুল কাফি। আগামী কাল সরলাদেবী চৌধুরাণী সার্ধশতবর্ষ স্মারক সম্মাননা নিবোধত পত্রিকাকে, সঙ্গে ‘বঙ্গনারীর সুকৃতি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস’ নিয়ে আলোচনা।

রবীন্দ্রগ্রন্থমেলা

১৯৬৫-তে প্রতিষ্ঠা টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর, প্রায় ছয় দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপৃত রবীন্দ্রচর্চায়। কবিপক্ষ আসছে, প্রতি বছর এই সময় রবীন্দ্রনাথের নিজের লেখা ও রবীন্দ্র-ভুবন নিয়ে বিশিষ্টজনের লেখা নানা বই একত্র করে রবীন্দ্রগ্রন্থমেলা আয়োজন করে ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাঁদের প্রকাশিত রবীন্দ্র-বিষয়ক বই এনে প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৭৩-এ সোমেন্দ্রনাথ বসুর পরিকল্পনায় প্রদর্শনীর শুরু, তখন হত কলকাতা তথ্যকেন্দ্রে; ১৯৮১ থেকে হয়ে আসছে কালীঘাট পার্কে ইনস্টিটিউট-এর রবীন্দ্রচর্চাভবনে। ৪৯তম বর্ষে এ বছরের প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ, চলবে ১০ মে পর্যন্ত— দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা।

১৭৫ বছরে

এ দেশের মেয়েদের প্রথাগত শিক্ষার ইতিহাস পুরনো নয়। উনিশ শতকে কিছু সমাজহিতৈষী নারীশিক্ষায় উদ্যোগী হলেও রক্ষণশীলদের বাধা ছিল বিস্তর। প্যারীচরণ সরকার ১৮৪৭-এ বারাসতে কালীকৃষ্ণ মিত্রের বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনে সহায়তা করে নিন্দিত হন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারও জনরোষের আশঙ্কায় এ ব্যাপারে নিশ্চেষ্ট ছিল। কোম্পানির আইনসচিব, পদাধিকার বলে শিক্ষা সংসদের সভাপতি জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন চাইলেন মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় গড়তে। বিদ্যাসাগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় রামগোপাল ঘোষ মনমোহন ঘোষের সাহায্যে ১৮৪৯-এর ৭ মে প্রতিষ্ঠিত হল ‘ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল’, যা আজ বেথুন কলেজিয়েট স্কুল (ছবি)। দেশের মেয়েদের প্রথম সরকারি স্কুলটি ১৭৫ বছরে পা রাখছে ৭ মে। এই উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রী, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকদের বর্ষব্যাপী উদ্‌যাপন। আগামী ২ মে মঙ্গলবার, সকাল সাড়ে ৭টায় বিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু হবে পদযাত্রা— বিশিষ্টজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সম্মিলনে।

জন্মশতবর্ষে

তাঁকে লেখা বুদ্ধদেব বসুর ‘সংরক্ষণযোগ্য’ চিঠির সংখ্যা একশো নব্বই, অমিয় চক্রবর্তীর ছিয়াশি, অশোক মিত্রের তেষট্টি। ‘সংরক্ষণযোগ্য পত্রাবলি’র এই তালিকা নিজেই তৈরি করেছিলেন পত্রপ্রাপক, কবি ও অধ্যাপক নরেশ গুহ (ছবি)। এই তালিকায় রয়েছেন যামিনী রায় শিবরাম চক্রবর্তী জীবনানন্দ দাশ সুকান্ত ভট্টাচার্য আবু সয়ীদ আইয়ুব পুলিনবিহারী সেন অম্লান দত্তও। জীবদ্দশাতে চিঠিগুলো প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নরেশ গুহ, বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু চিঠি প্রকাশ ছাড়া প্রভাতকুমার দাসের সম্পাদনায় তাঁর যামিনী রায়/ এক আধুনিক চিত্রকর (প্রকা: লালমাটি) গ্রন্থে সটীক যামিনী-পত্রাবলি সুলভ। এ বছর জন্মশতবর্ষ তাঁর (জন্ম ১৯২৩), আজ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে সন্ধে ৬টায় অহর্নিশ পত্রিকা ও সৃজনী কলকাতা-র আয়োজনে নরেশ গুহ স্মরণ-অনুষ্ঠানে কথা হবে চিঠিগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। থাকবেন মীনাক্ষী দত্ত সৌরীন ভট্টাচার্য ও অমিয় দেব।

প্রয়াণ

বৈদিক বা ধ্রুপদী সাহিত্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাখ্যা করতেন অবলীলায়। যেমন বাগ্মিতা, তেমনই ছিল উপস্থাপনার মুনশিয়ানা। সে কালের ‘ঈশান স্কলার’, কালক্রমে তিনিই মহামহোপাধ্যায় বেদবিদ্যাবারিধি অধ্যাপক অমরকুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রায় পঞ্চাশ বছরের সুদীর্ঘ অধ্যাপনা-জীবন; আশুতোষ কলেজে সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন, নানা সময়ে যুক্ত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের সঙ্গে। পাণ্ডিত্যময়, আত্মপ্রচারবিমুখ, ছাত্রবৎসল এই শিক্ষাব্রতী গত ২০ এপ্রিল রাতে প্রয়াত হলেন। রিক্ত হল সংস্কৃতবিশ্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement