ভেঙে পড়া চিমনি। নিজস্ব চিত্র
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দেহ সৎকারে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। তবে ব্যতিক্রম ছিল শিবপুর শ্মশানঘাট। তাই শুধু হাওড়ার নয়, বাইরের বহু করোনা-আক্রান্তের দেহ সেখানে সৎকার হয়েছে গত তিন সপ্তাহ ধরে। কিন্তু সোমবার রাতের ঝড়ে সেই শ্মশানের চুল্লির ৫০ ফুট লম্বা চিমনি ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনা-আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার। মঙ্গলবারও চিমনিটি সারানো যায়নি। এর ফলে বিপাকে পড়েছে হাওড়া প্রশাসন।
পুরসভা সূত্রের খবর, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ঝড়ের দাপটে ওই চিমনিটি মাঝখান থেকে ভেঙে যায় এবং শ্মশানের পিছনে থাকা একটি বস্তির দু’টি ঘরের উপরে আছড়ে পড়ে। চিমনির ভাঙা অংশটি ঘরের টালির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। সে সময়ে বস্তির ওই ঘরে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে টিভি দেখছিলেন পেশায় দিনমজুর বালেশ্বর রাও। তিনি বলেন, ‘‘চিমনির আঘাতে আমার ছেলের পিঠ কেটে গিয়েছে। আমরাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছি।’’ খবর পেয়ে শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে রাতে পুরসভার কেউ সেখানে যাননি বলে অভিযোগ।
চুল্লির দায়িত্বে থাকা এক পুরকর্মী বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত ১০ জনের দেহ এই শ্মশানে পোড়ানো হয়েছে। করোনা রোগীর দেহ পোড়ানোর পরে অন্য মৃতদেহ কম আসছে। কিন্তু চুল্লি ভেঙে সবই বন্ধ হয়ে গেল।’’ হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘চিমনিটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েই খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের একটা দল গিয়ে দেখেও এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিমনি সারিয়ে চুল্লি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)