প্রতীকী ছবি।
বাড়ির লোকজনের ইচ্ছে, ছেলে সরকারি চাকরি করুক। সেই মতো খোঁজ করতে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর মেলে এক ব্যক্তির। তাঁকে নগদ দিলেই নাকি পাওয়া যাবে সরকারি যে কোনও একটি চাকরি। নগদ দেওয়া হল। প্রত্যাশা মতো সেই সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও চলে এল। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে অফিসে পৌঁছে খবর নিতেই জানা দেখা গেল, চাকরির নিয়োগপত্রটাই আসল নয়!
এর পরেই নেতাজিনগরের বাসিন্দা সুদীপ্ত বসুচৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা পড়ে গেল সেই প্রতারক। রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডের বাসিন্দা শ্যামল গোস্বামী নামের ওই ব্যক্তিকে বুধবার গ্রেফতারের পরে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য কী কী ধাপ পেরোতে হয়, অভিযুক্ত শ্যামল সে সব জেনেই তৈরি করেছিল নিয়োগপত্রটি। সেচ দফতরের গ্রুপ ডি-র ওই ভুয়ো নিয়োগপত্রে লেখা ছিল, সুদীপ্তবাবুর ছেলে সল্টলেকের অফিসে চাকরি পেয়েছেন। মাসিক ৫১০০ টাকা বেতন। তবে পদটি অস্থায়ী এবং এক মাসের মধ্যে দফতর মনে করলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে অথবা অন্য জায়গায় বদলি করতে পারবে। এমনকী, ওই চাকরির জন্য যে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দরকার, তা-ও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গিয়েছে।
সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, তিনি শ্যামলকে মোট আট লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বিনিময়ে জাল নিয়োগপত্র পাওয়ায় সোজা চলে যান নেতাজিনগর থানায়। ২২ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ তদন্তে নামে এবং বুধবার রাতে শ্যামলকে গ্রেফতার করে। তবে ওই আট লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়নি। জেরায় শ্যামল জানিয়েছে, সে সেচ দফতরের সচিবের সই জাল করেছিল। এর আগে আর কত জনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে সে ঠকিয়েছে এবং টাকা নিয়েছে, পুলিশ তা-ও খতিয়ে দেখছে। শ্যামলের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে তা-ও।