কাগজে ছাপা বিলের বদলে ই-বিল নিলে প্রতি মাসে গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৫ টাকা ছাড় দেওয়া শুরু করেছে সিইএসসি। ই-বিলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সংস্থা কর্তৃপক্ষ এ বার পাড়ায় পাড়ায় শিবির করে গ্রাহকদের ই-মেল ঠিকানা সংগ্রহে নামবে। যাতে আগ্রহী গ্রাহকের ই-মেলে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
সংস্থার কয়েক লক্ষ গ্রাহকদের মধ্যে এখন অল্প কিছু মানুষ ই-বিল নেন। এমনকী, বহু গ্রাহকের মোবাইল নম্বরও নেই সিইএসসি-র তথ্য ভাণ্ডারে নেই। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। ইদানীং কোনও অঞ্চলে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে সিইএসসি গ্রাহকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠায়। একই ভাবে পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে সরাসরি সংস্থার কোনও শীর্ষ কর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থাও চালু হয়েছে।
কী চাইছে সিইএসসি?
দেশের বহু কর্পোরেট সংস্থাই এখন পরিবেশ দূষণ রুখতে পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থা নিচ্ছে। গাছ বাঁচাতে কাগজের খরচ কমানোর বিষয়টি ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সেই উদ্যোগের অংশীদার হয়ে সিইএসসি-ও টেলিকম প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক পরিষেবা আরও উন্নত করতে চাইছে।
সংস্থার কথায়, কাগজের বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যাও থাকে। ক্যুরিয়ার সংস্থাকে দিয়ে প্রতিটি গ্রাহকের কাছে মাসে মাসে বিল পাঠাতে সংস্থার খরচ হয়। অনেক সময় গ্রাহকের কাছে বিল পৌঁছতে দেরি হয়। কখনও বা বিল হারিয়ে যায়। ই-বিল হলে সে সব সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব এবং খরচও কমে। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের খরচ বাঁচলে গ্রাহকেও তার অংশীদার করা যায়। তাই ঠিক হয়েছে, ই-বিল নিলে গ্রাহককে অতিরিক্ত ৫ টাকা ছাড় দেওয়া হবে।’’
এখন যে কোনও বিল গ্রাহকরা সময়ের আগে জমা দিলে বিলের মোট অঙ্কের থেকে কিছু ছাড় পেয়ে থাকেন। ‘অনলাইন পেমেন্ট’ ব্যবস্থা জনপ্রিয় করতে সিইএসসি ইতিমধ্যেই ওই ছাড়ের সঙ্গে অতিরিক্ত এক শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এ বার থেকে ই-বিল নিলে ছাড়ের মাত্রা বাড়বে। পাশাপাশি সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানান, কোনও গ্রাহক ই-বিল পাওয়ার পর অনলাইন পেমেন্ট করতে না চাইলে, বিলের প্রিন্ট আউট নিয়ে কাউন্টারে গিয়ে টাকা জমা দিলেও ৫ টাকা ছাড় পাবেন।
সিইএসসি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের ২৫ লক্ষ গৃহস্থ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ৫ লক্ষ ৬০ হাজার গ্রাহকের ই-মেল আইডি সংস্থার কাছে রয়েছে। ই-মেল রয়েছে এমন গ্রাহকদের প্রত্যেককেই কাগজে ছাপা বিলও যেমন পাঠানো হয়, পাশাপাশি গ্রাহকরা ই-বিলও তাঁরা পান। ডিসেম্বর মাসে সিইএসসি-র মাত্র ৩০ হাজার গ্রাহক ই-বিল পেয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করেছেন। এই সংখ্যাটাই যতটা সম্ভব বাড়াতে চাইছে সিইএসসি।