এ বছরের অন্যতম হিট মিষ্টি ‘উদয়ের পথে’। নিজস্ব চিত্র
সপ্তপদী থেকে নায়ক, ভূতের ভবিষ্যৎ থেকে কাবুলিওয়ালা— সবই মিষ্টি থিম। বাংলা সিনেমার শতবর্ষ উদ্যাপনে এ ভাবেই শামিল হয়েছে বাঙালির প্রিয় ক্যাডবেরি মিষ্টি!
ক্যাডবেরি মিষ্টির নিত্য নতুন রেসিপি চেখে দেখা আট বছরে এক অর্থে নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছে এ শহরে। ক্যাডবেরি মিষ্টির রেসিপিতে ‘টুইস্ট’ আনতে আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগিতায় এ বছরও চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেই যুদ্ধে জিতে এ বছর সেরার স্থান অর্জন করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’। ক্রিটিক চয়েস ২০১৯-এ সেরা ‘ভি আই পি সুইটস্’ এবং পপুলার চয়েস-এ উঠে এল ‘গাঙ্গুরাম সুইটস’-এর নাম। এ ছাড়াও বেস্ট ডেবুট্যান্ট ২০১৯-এ পুরস্কার পেল ‘সতীশ চন্দ্র দাশ অ্যান্ড সন্স’ এবং বেস্ট থিম ইন্টিগ্রেশনের পুরস্কার জিতল ‘শ্রী বিষ্ণু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। মিষ্টি-যুদ্ধের শেষ পর্ব উদ্যাপনে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল মেলা বসেছিল নিউ টাউনের একটি শপিং মলের প্রাঙ্গণে। সেখানেই কারও মন কাড়ল ‘বসন্ত বিলাপ’-‘বেলা শেষে’র স্বাদ তো কেউ মুগ্ধ হলেন ‘উদয়ের পথে’-‘মেঘে ঢাকার তারা’র রেসিপিতে। সেখানেই এসে এক ক্রেতা মন্তব্য করলেন, ‘কাবুলিওয়ালা’ মিষ্টির স্বাদ তাঁর আজীবন মনে থাকবে সেই ছবির মতোই। আর এক জনের আবার ‘নায়ক’-এর রেসিপিতে এমনই মন ভরে গেল যে, তা মনে হল সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে উত্তমকুমারের মতোই অসাধারণ সেটি।
শুধু সিনে-মিষ্টি চাখা নয়, শহর মজল ‘মিষ্টি সিনেমা’ নিয়ে আলাপ-আলোচনাতেও। দু’দিনের এই মিষ্টি মেলায় হাজির হয়েছিলেন বাঙালির প্রিয় তারকারাও। কেউ মাতলেন বিতর্কে, তো কেউ বা যোগ দিলেন আড্ডায়। তপ্ত বিতর্কসভায় দাবি উঠল, ‘‘বলতে লজ্জা পেলেও বাঙালি আসলে মিষ্টি ছবি দেখতেই পছন্দ করেন!’’ সে কথা নস্যাৎ না করেও অরিন্দম শীল পাল্টা বললেন, ‘‘বাঙালি মিষ্টি খায় বটে, তবে যা পেলাম খেয়ে নিলাম, এমনটা নয়।’’ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় বিতর্ক জমিয়ে তুলতে একে-একে মন্তব্য করলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাত, সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও ঋতাভরী চক্রবর্তীরাও। পরদিন মিষ্টি-আড্ডা জমিয়ে তুললেন দেবশঙ্কর হালদার, আবীর চট্টোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়েরা। এরই ফাঁকে ‘ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্ক’-এর সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার মনোসিজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলা সিনেমার ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষ আনন্দলোক সংখ্যার উদ্বোধন করলেন অভিনেতা আবীর। মিষ্টিতে সিনেমায় জমে উঠল সময়!