বা়ড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে। পরে তাঁর খোঁজ মিলল সরকারি হাসপাতালের মর্গে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। পুলিশ জনিয়েছে মৃতের নাম মহম্মদ জাহিদ (৫৫)।
পুলিশ সূত্রের খবর, কড়েয়া থানার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের জুতোর কারখানা রয়েছে। শনিবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বেরোন প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের কবরস্থানে এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখানে ওই আত্মীয়ের শেষকৃত্য হয়ে গেলে অন্য পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১০টা নাগাদ তিনি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রো়ডে দাঁড়িয়েছিলেন বাস ধরার জন্য। অভিযোগ, আচমকাই একটি সরকারি এসি বাস ওই মোড়ে বাঁক নিতে গিয়ে ধাক্কা মারে জাহিদকে। বাসের ধাক্কায় রাস্তার উপরে ছিটকে পড়েন ওই প্রৌঢ়। তাঁকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। তাঁরাই জাহিদকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ দিকে জাহিদের কাছে কোনও রকম পরিচয়পত্র কিংবা নম্বর ছিল না, যা দেখে তাঁর পরিচয় এবং ঠিকানা খুঁজে পেতে পারে পুলিশ। ফলে বাঙুরের মর্গেই ‘বেওয়ারিশ’ লাশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টা পড়ে থাকে ওই প্রৌঢ়ের দেহ।
এ দিকে রাত বাড়তে থাকলেও জাহিদ বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ নিতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা জাহিদ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি। গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি চলতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। পরে রাতেই ছবি-সহ কড়েয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে জাহিদের পরিবার।
সেই নিখোঁজ ডায়েরির উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন থানায় জাহিদের ছবি পাঠিয়ে শুরু হয় খোঁজ খবর। তখনই পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই প্রৌঢ় দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁর দেহ রয়েছে বাঙুর হাসপাতালের মর্গে। রাতেই সেখানে গিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে জাহিদের পরিবার তাঁদের হাতে দেহটি তুলে দেওয়ার আবেদন করেন। ময়না-তদন্ত করার পরে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাহিদের দেহ। ঘটনার পরে পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।