অবসাদ মেটাতে মুখোমুখি বন্ধুত্বের ডাক আলোচনায়

আত্মহত্যা রোধ ও সমাজে এই নিয়ে সচেতনতা প্রসার কী ভাবে সম্ভব, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে এ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব বাড়ানো নয়, মুখোমুখি কথা বলার মতো বন্ধুত্ব তৈরি করুন। এমন বন্ধু করুন, যাঁকে অবসাদের কথা খুলে বলা যায়। এ নিয়ে এখনই সচেতন না হলে, দ্রুত বিশ্বের অবসাদগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে চলে আসবে ভারত।

Advertisement

আত্মহত্যা রোধ ও সমাজে এই নিয়ে সচেতনতা প্রসার কী ভাবে সম্ভব, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে এ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন করলেন, পড়ার ফাঁকে বন্ধুর কষ্ট ধৈর্য ধরে শোনার চেষ্টা করুন। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম, অধ্যাপক শেখর শেষাদ্রি, চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রেডিয়ো সঞ্চালক মীর, যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মুক্তিপদ সিংহ-সহ আরও কয়েক জন। মানসিক স্বাস্থ্য যে কোনও ভাবেই অবহেলা করার নয়, সেটা তাঁদের সকলের বক্তব্যে শোনা গেল।

মীরের পরামর্শ, এখন তো হোয়াটসঅ্যাপে কত গ্রুপ হয়। এমন গ্রুপ তৈরি হোক, যা মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়। তিনি আলোচনাসভায় উপস্থিত পড়ুয়াদের বলেন, ‘‘ফেসবুকে তোমাদের দু’হাজার বন্ধু থাকতে পারে, কিন্তু অসুস্থ হলে বা ক্লাসে তোমাকে দু’দিন না দেখলে যে খোঁজ নেয় সে-ই তোমার আসল বন্ধু।’’ মীরের মতে, ‘‘মেট্রোয় কেউ আত্মহত্যা করলে বা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘আত্মহত্যা করার জায়গা পেল না। এ জন্য অফিস দেরি হয়ে গেল।’ কিন্তু যিনি মানসিক অবসাদ থেকে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।’’ শেখর শেষাদ্রির কথায়, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ কর, তবে মুখোমুখি কথা বলাও অভ্যাস কর।’’

Advertisement

এ দিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন জয়রঞ্জন রাম ও মুক্তিপদ সিংহ। তাঁরা কথায় উঠে এল সাম্প্রতিক সমীক্ষার ভয়াবহ ফলাফল। যাতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে এক জন আত্মহত্যা করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত অন্যতম অবসাদগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত হবে। তাই মানুষে-মানুষে সংযোগ বাড়ানো জরুরি। সৃজিতের মতে, ‘‘সোনার বাংলা তখনই সোনার হবে, যখন একে অন্যের কথা শুনবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement