একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে এক মহিলার ১৫ লক্ষ টাকা কেপমারি করে পালাল দুষ্কৃতীদের দল। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায়।
পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কের প্রবেশপথের পাশেই একটি চেয়ারে বসে ছিলেন ওই মহিলা। আচমকা এক যুবক এসে তাঁকে বলে, তাঁর চেয়ারের পিছনে টাকা পড়ে রয়েছে। যেই তিনি ওই টাকা তুলতে যান, তখনই এক যুবক তাঁর ব্যাগ নিয়ে ব্যাঙ্কের দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। ওই যুবকের সঙ্গে ছিল আরও চার জন। মহিলার ব্যাগে ছিল পনেরো লক্ষ টাকা।
ঢাকুরিয়ার ওই ব্যাঙ্ক থেকে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন শাখায় টাকা পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কের দুই কর্মী টাকা আনতে ঢাকুরিয়ার ওই শাখায় গিয়েছিলেন। টাকা নেওয়ার পরে মূল ফটকের কাছে একটি আসনে বসে ছিলেন ওই মহিলা। আর তাঁর সঙ্গী বাইরে গিয়ে ফোনে গাড়ি ডাকছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা ঘটনার আগে ভাল ভাবে ‘রেকি’ করেছিল। মহিলাকে কিছু ক্ষণের জন্য একা পেয়েই এই কাণ্ড ঘটায় তারা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ব্যাঙ্কের অদূরেই যাদবপুরগামী একটি অটো দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে সেই অটোয় উঠেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যত ক্ষণে ওই মহিলা চিৎকার করে ওঠেন, তত ক্ষণে কেপমারেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ দিনের এই ঘটনার আগে ব্যাঙ্কের উল্টো দিকের রাস্তায় চায়ের দোকানে দেখা গিয়েছিল ওই দুষ্কৃতীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা সিসিটিভি-র ছবি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা এবং নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই শাখার ম্যানেজার হিমাদ্রি নন্দের দাবি, ব্যাঙ্কের ভিতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকই রয়েছে। এ দিনের ঘটনাটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী ব্যাঙ্কের ভিতরে নজরদারির কাজ করছিলেন, তিনি সে সময়ে গেটের সামনে ছিলেন না।
ব্যাঙ্কের উল্টো দিকে চায়ের দোকানের কর্মচারী সুরিন্দর যাদব বলেন, ‘‘পাশের চায়ের দোকানে কয়েক জন বসে কথা বলছিল। আর বাকিরা রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিল। আচমকা চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই।’’ ব্যাঙ্কের কাছেই ছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। তাদের দাবি, ঘটনার কিছু আগেই ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তা দিয়ে টহলদার ভ্যান গিয়েছিল।